বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে নিঁখোজ হওয়ার ২৪ঘন্টা পরও উদ্বার হয়নি রামগড় সরকারি ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্র

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ৩১ মে, ২০২০, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বেলাল হোসাইন,(খাগড়াছড়ি):

বারি বর্ষনের সময় রামগড় উপজেলার প্বার্শবর্তী বাগান বাজার স্কুল সংলগ্ন ফেনী  নদীতে কাঠ সংগ্রহ করতে এসে নিঁখোজ হয়েছেন রামগড় সরকারী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী পলাশ দে। সে ফটিকছড়ির ভুজপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের পুরান রামগড় এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা শিপ্রারাণীর ছেলে। তার দুই সন্তানের মধ্যে পলাশ বড় ছোট ছেলে নবম শ্রেণীতে পড়ে।নিঁখোজের পর স্থানীয়রা উদ্বারের চেষ্টা করলেও কোন সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মজিবুর রহমান জানান, পলাশ এবং তার বন্ধুরা প্রায়ই নদীতে উজানের সময় কাঠ সংগ্রহ করতে যেতো।প্রতিবারের মত শুক্রবার সন্ধ্যায় পলাশ এবং তার সহপাঠীরা পাহাড়ি উজান থেকে ফেনী নদীতে ভেসে আসা গাছের গুড়ি বাঁশ দিয়ে আটকিয়ে পাড়ে তুলছিলেন।এক পর্যায়ে গাছের বড় টুকরো দেখে পলাশ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে গাছের গুড়িটি ধরার চেষ্টা করলে স্রোতের তীব্রতায় পানিতে মিলিয়ে যায় পলাশ।তৎক্ষনাত সহপাঠীদের অনেকেই পানিতে নেমে পলাশকে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ছেলের নিঁখোজ হওয়ার খবর শুনে তার মা শিপ্রা রাণী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন।স্থানীয়দের তথ্যমতে পলাশ তার মায়ের বড় ছেলে।তার বাবা ছোটবেলায় তাদের ছেড়ে অন্যত্রে পাড়ি দিলে সন্তানদের ভবিষতের কথা চিন্তা করে অন্যত্রে বিয়ে করেন নি।পলাশ খুবই মেধাবী এবং লেখা পড়ার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরেছিলেন।

রামগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ডলার ত্রিপুরা জানান, স্থানীয়রা,রেড ক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক অনুসন্ধান চালিয়ে ছেলেটির কোন হদিস পায়নি। পরে চট্টগ্রাম থকে ডুবুরী দল আসে তারাও সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুসন্ধান করে কোন হদিস করতে পারেনি। আপাদত উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে তবে সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া স্থানিয় ভাবে একটি উদ্ধারটিম নদীতে বোট নিয়ে খুুঁজছে বলে জানান।

উল্লেখ্য গত বছর ঠিক একই স্থানে বারি বর্ষনের সময় নদীতে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনজন শিশু নিহত হয়।নিহতের একদিন পর চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরী দল এসে তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর