বর্তমানে মার্কিন পপ তারকা নিক জোনাসের স্ত্রী তিনি। নিকের সঙ্গে বিয়ের পর বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসেই থাকছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে থাকার সময়ই এবার নিজের বই ‘আনফিনিশ্ড’ প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আনফিনিশ্ড প্রকাশের সময় টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়ে জীবনের একাধিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন পিগি। যার মধ্যে অন্যতম ‘ব্রাউন টেররিস্ট’ বলে পিগিকে আক্রমণের বিষয়টি।
প্রিয়াঙ্কা জানান, ২০১২ সালে ‘ইন মাই সিটি’ মুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েন তিনি। ওই সময় প্রিয়াঙ্কাকে ‘ব্রাউন টেররিস্ট’ বলে কটাক্ষ করা হয়। প্রিয়াঙ্কার মতো একজন বাদামি রঙের মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে কী করছেন বলেও প্রশ্ন তোলা হয়।
পাশাপাশি ভারতে নিজের জায়গায় ফিরে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বোরকা পরুন বলে যেমন কটাক্ষ করা হয়, তেমনি তাঁকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান অভিনেত্রী। বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয়ের আগে যেমন বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েন প্রিয়াঙ্কা, তেমনি ২০১২ সালে ইন মাই সিটি মুক্তির সময়ও তাঁকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয় বলে জানান পিগি।
প্রসংগত প্রিয়াঙ্কাই যে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়েন, এমন নয়। এর আগে শিল্পা শেঠিকেও বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়তে হয়। ‘বিগ ব্রাদার’ নামে একটি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে শিল্পাকে বারবার বর্ণবিদ্বেষের জেরে হেনস্তা করা হয়। যা সহ্য করতে না পেরে একসময় কেঁদে ফেলেন শিল্পা শেঠি।
বলিউড অভিনেত্রীর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর মন ভেঙে যায় ভারতীয়দের। যদিও বিগ ব্রাদারের ঘরের সমস্ত কটাক্ষ, আক্রমণকে সহ্য করে শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর মুকুট পরে সেখান থেকে বের হন শিল্পা শেঠি।