মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করেছে দেশটির পুলিশ। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বা এনএলডি’র এই নেত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি আমদানির অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এসব অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সু চি।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, সু চির বিরুদ্ধে করা পুলিশের এফআইআরের তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সু চি। বিভিন্ন সূত্র বলছে, রাজধানী নেপিডোতে নিজ বাসভবনেই আটক আছেন অং সান সু চি। তবে সরকারি কোনো সূত্র এটি নিশ্চিত করেনি।
আদালতে ৭৫ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে পুলিশ যে নথি উপস্থাপন করেছে সেখানে বলা হয়েছে, রাজধানী নেইপিদোতে এই নেত্রীর বাড়িতে তল্লাশির সময় ওয়াকি-টকি রেডিও পাওয়া গেছে। তারা বলছে, এই রেডিওগুলো অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে এবং অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা হচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ, প্রমাণাদি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর বিবাদী জন্য আইনি উপদেষ্টা নিয়োগে সু চির আটকাদেশের অনুমতি চেয়েছে পুলিশ। এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ, সরকার এবং আদালত কোনও মন্তব্য করেনি। এর আগে এনএলডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এসময় কোনও ধরনের বেআইনি কাজ করা থেকে বিরত থাকতেও কর্তৃপক্ষ তাদের আহ্বান করেছে বলে জানিয়েছে এনএলডি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর সু চি এবং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অভ্যুত্থানের নেতারা একটি সুপ্রিম কাউন্সিল গঠন করেন, যারা মন্ত্রীদের চেয়েও বেশি ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।