মিয়ানমারে সোমবারের রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানের দুইদিন পর আটক দেশটির নির্বাচিত বেসামরিক নেতা অং সান সুচিকে দু’সপ্তাহের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ১৫ ফ্রেব্রয়ারি পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা নির্দেশ দিয়েছে সামরিক জান্তা। সুচির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি রেডিও আমদানি এবং বিনা অনুমতিতে তা ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সুচিকে কোথায় রাখা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজধানী নেপিদোর নিজ বাসভবনেই আটক রাখা হয়েছে এই নেত্রীকে।
দু’সপ্তাহের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিয়ান্টকেও। তার বিরুদ্ধে করোনা মহামারির নিয়ম ভঙ্গ করে সমাবেশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিবৃতিতে সামরিক অভ্যুত্থান অনিবার্য ছিলো দাবি করেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিং অং হলাইং। সব ধরনের মতামত বা জন বিক্ষোভ রোধে অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে মিয়ানমার জুড়ে জোরালো করা হয়েছে সেনা টহল। ব্যাংক, মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ কিছুটা চালু হলেও ১ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত দেশটির প্রধান বিমানবন্দর। জারি রয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
এতো কড়াকড়ির মাঝে, সেনা শাসনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশটিতে। প্রধান শহরগুলোর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা বুধবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। তরুণ ও শিক্ষার্থীরা অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোফাইল পিকচার কেবল লাল রং করে চলছে প্রতিবাদ। এছাড়া, ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা গাড়ির হর্ন ও থালাবাসন বাজিয়েও প্রতিবাদ জানান।