সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

টিকা নেওয়ার লোক নেই ভারতে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৮ অপরাহ্ণ

ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অনুমোদন পেয়েছে।  

ফলে দেশটিতে এই মুহূর্তে টিকার অভাব নেই, কিন্তু মহামারি প্রতিষেধক নেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। ভয়ে টিকা গ্রহীতারা এগিয়ে আসছেন না বলে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন দুটি টিকাই নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  তবে ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা তৃতীয় দফার ট্রায়াল ঠিক মতো শেষ করা হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়া প্রকাশ্যে আসেনি সাফল্যের তথ্য।

ফলে এটি একরকম ট্রায়ালের মতোই প্রয়োগ করা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে। তাই তারা ভারত বায়োটেকের টিকায় ভরসা করতে পারছেন না।

করোনার টিকার ঝুঁকির ইঙ্গিত দিয়ে ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স অব পটনা-র চিকিৎসক বিনোদ কুমার বলেন, আমাদের (স্বাস্থ্যকর্মীদের) ওপর করোনার টিকার ট্রায়াল চালানোর তো কোনো মানে হয় না, যখন ভারতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা এমনিতেই কম।

টিকা নিতে ৪০ শতাংশ চিকিৎসক এখনও অপেক্ষা করতে চাইছেন বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুলাইয়ের মধ্যে ভারতে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দিতে গেলে যে গতিতে টিকাকরণ হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না।

সোমবারের হিসাব অনযায়ী, এখনও পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিহারে টিকাপ্রাপ্তের শতাংশ ৫১.৬।

১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্থানে লক্ষ্যমাত্রার ৫৫ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৫৪ শতাংশ।

তামিলনাড়ুতে কোভ্যাক্সিনে নথিভুক্তের ২৩ শতাংশ টিকা নিয়েছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে সেই শতাংশের হিসাব ৫৬।

নয়াদিল্লির এমসের চিকিৎসক সংগঠনের সদস্য আদর্শপ্রতাপ সিংহের মতে, আমাদের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠান কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের বিষয়ে নিশ্চিন্ত নয়। সরকারের উচিত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে প্রকাশ্যে আসা। সাধারণ মানুষের মনে ভরসা তৈরি করা যে এই টিকাও গ্রহণযোগ্য।

এ বিষয়ে ভারত বায়োটেকের প্রধান কৃষ্ণা এলা জানিয়েছেন, তাদের সংস্থা ২০০ শতাংশ স্বচ্ছ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে। ১৬টি নিরাপদ টিকা তৈরির ইতিহাস রয়েছে তাদের। তাই একে সন্দেহ করার মানে হয় না।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর