সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

ই-পেপার

অভিনেত্রী আশার মৃত্যু, ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মায়ের রিট হাইকোর্টে

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ

সংবাদ ডেস্ক: রাজধানীর দারুস সালাম টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাকের ধাক্কায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী অভিনেত্রী আয়েশা আক্তার আশার মৃত্যুর ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন তার মা পারভীন আক্তার। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রবিবার এ রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আনিচুর রহমান। এ আইনজীবী বলেন, বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।

৬ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘অভিনেত্রী আশার মৃত্যুর ঘটনায় মোটর সাইকেল চালক কারাগারে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে আশার পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা নিরুপনে স্বাধীন তদন্ত কমিটি করতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। আবেদনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, ঢাকা উত্তির সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের(বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ৪ জানুয়ারি সোমবার রাত দুইটার দিকে দারুস সালাম টেকনিক্যাল মোড়ে একটি ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আয়েশা। পরে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরদিন মঙ্গলবার আশার পিতা আবু কালাম বাদী হয়ে মোটর সাইকেলের চালক শামীম আহমেদকে আসামি করে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন। এরপর শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৬ জানুয়ারি তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছয়-সাত বছর ধরে আসামি শামীম আহমেদের সঙ্গে আশার পরিচয়। প্রায়ই শামীম আশাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। আশার পরিবারও তাঁকে বিশ্বাস ও স্নেহ করতেন। মাঝেমধ্যে এবং অভিনয়ের কাজে আসা-যাওয়ায় সহযোগিতা করতেন শামীম। ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বনানী অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আশা তাঁর বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় আসছি।’ তারপর আবার ফোন করে তিনি বলেন, ‘বাড়ির কাজের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে। কাজ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমি শামীম ভাইয়ের সঙ্গে চলে আসব।’ এ সময় শামীম মুঠোফোনে বলেন, আপনার মেয়ে যেভাবে বলে, সেভাবে কাজ করেন তাহলে ভালো হবে। পরে রাত পৌনে দুইটার দিকে শামীম ফোন করে জানান, ‘আশা আর নেই। টেকনিক্যাল মোড়ে একটি অজ্ঞাত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করেছে।’

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, শামীম বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুই ট্রাকের মাঝখান দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আশা মোটর সাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যান। এরপর পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি অজ্ঞাত ট্রাক তাঁকে চাপা দিলে মাথায় জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই আশা মারা যান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর