শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

নাগরপুরে অসহায় সোহেলের পাশে মুকতাদির হোমিও

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:৩২ অপরাহ্ণ

নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ

কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশের পর সেই সোহেলের পাশে দাঁড়ালেন টাঙ্গাইল নাগরপুরের মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের রিসোর্স টিচার(ইংরেজী) ডা. এম. এ. মান্নান।কয়েকদিন আগে গয়হাটা ইউনিয়নের ঘুনি এলাকার শিশু সোহেলকে নিয়ে ধানি জমির ইঁদুরের গর্তে রিজিকের সন্ধানের সংবাদ অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করনে প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে আজ রোববার (৩ জানুয়ারী) সকালে ওই শিশুর প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ডা.এম.এ.মান্নান। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী কলেজপাড়া এলাকার আহাম্মদ হোসেন (অবসর প্রাপ্ত সরকারী চাকুরিজীবী)’র সুযোগ্য দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানদের মধ্য সমাজ সেবায় নিয়োজিত তৃতীয় সন্তান ডা. এম.এ মান্নান।

এ সময় সোহেল ও তার পরিবারের হাতে এক বছরের শিক্ষা উপকরণ খাতা, কলম, পেন্সিল, জ্যামিতি বক্স, মোমবাতি, শুকনো খাবার, করোনা মোকাবিলার জন্য মাক্স, হ্যান্ডস্যানিটাইজার সহ নগদ টাকা ও ফ্রী চিকিৎসার স্বাস্থ্য সেবার কার্ড তুলে দেন।এতে ওই শিশু সোহেলের মুখে এক ঝলক অমূল্য হাসি ফুটে উঠে। এমন উদারতা দেখে সোহেলের বাবা মার মুখেও হাসি উপস্থিতদেরও মন কেড়ে নেয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক রাখাল চন্দ্র আচার্য্য, উপজেলা কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও মোঃ ছরোয়ার হোসাইন, সাংবাদিক ও স্থানীয় মুরুব্বি প্রমুখ।

সোহেলের বাবা আলতাব হোসেন বলেন, এত কষ্ট করে জীবন যাপন করতেছি দেখার কেউ ছিল না। ছেলে এ ভাবে ঘুরে ফেরে আয় করে জানতাম কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করবে তা জানতাম না।শিশু সোহেল বলে, আর ধান, কচুর মুহি, লতি বা সুপারি কিছুই কুরাবো না। মন দিয়ে পড়ালেখা করে মা বাবার পাশে থাকতে চাই। আপনাদের দোয়া এবং সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে ডা.এম.এ মান্নান বলেন, নিউজটি দেখে তার পাশে দাঁড়িয়ে ভাল লাগছে। যদিও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসহায় ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ, বৃত্তি দিয়ে আসছি এবং করোনার শুরু থেকেই করোনা মোকাবিলায় মাক্স, হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় মেডিসিন নাগরপুর মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে বিতরণ করেছি এবং এ বিতরণ ও প্রচার অব্যাহত আছে।ওই শিশুর এক বৎসরের যাবতীয় হোমিও চিকিৎসা সেবা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বিনা মূল্যে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

শিক্ষক রাখাল চন্দ্র আচার্য্য বলেন, কোমলমতি শিশুদের হাতের বই খাতা কলম ছাড়া অন্য কোন হাতিয়ার মানায় না। সমাজে হাজারো অসহায় সোহেল ছরিয়ে আছে তেমনি মান্নানের মত ছরিয়ে আছে হাজারো মানবতার ফেরিওয়ালা। চাইলে আমরা এগিয়ে আসতে পারি। ওই শিশু যদি আমার কর্মরত উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তবে তাকে ফ্রি পড়াশোনার ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর