শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

উল্লাপাড়ায় রাস্তা না থাকায় দেড় কোটি টাকার ব্রীজ হলেও অবসান হয়নি ভোগান্তির

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:০৯ অপরাহ্ণ

মোঃ আমিনুল ইসলাম,উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রায় সাড়ে দশ বছর আগে উল্লাপাড়ায় কচুয়া (বিলসূর্য্য) নদীর উপর ব্রীজটি নির্মান করা হয়েছে। এর পিছনে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ব্রীজটির এক পাশে মাত্র আড়াইশ ফুট সরকারি সড়ক পথ নেই। এতেই যত ভোগান্তি। অবসান হয়নি চলাচলের দূর্ভোগের। আর গড়ে ওঠেনি সড়ক পথে আন্তঃ ইউনিয়ন সরাসরি ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিগত সময়ে এলজিইডি থেকে ব্রীজটির মুখ থেকে একটি পাকা সড়ক নির্মানে নেয়া উদ্যোগ থেমে থেকেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার নাগরৌহা গ্রাম এলাকায় কচুয়া নদীর উপর বিগত ২০১০ সালে ৩৬ মিটার দীর্ঘ ব্রীজ নির্মান করা হয়। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় এলজিইডি থেকে ব্রীজটির নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের নাগরৌহা উত্তরপাড়া হয়ে পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক পথের সহজ ও সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তে এ ব্রীজটি নির্মান করা হয়। পূর্নিমাগাঁতীতেই রয়েছে সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ব্রীজটির উত্তর পাশের মুখ থেকেই প্রায় আড়াইশ ফুট সড়ক পথ নেই। এ অংশটুকু বাদে আবার সরকারি দীর্ঘ সড়ক পথ পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়নের পুকুরপাড় গ্রামের পাকা সড়কে মিশেছে। আরেক সড়ক পথ নাগরৌহা উত্তরপাড়া থেকে বাখুয়া ফকিরপাড়া পর্যন্ত রয়েছে। এ ব্রীজ হয়ে পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের পুকুরপাড়, বেতুয়া, ছয়বাড়িয়া, ফলিয়া, নাগরৌহা উত্তরপাড়া, ফকিরপাড়া বিভিন্ন পেশার লোকজন উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করেন। সরকারি সড়ক পথটুকু না থাকায় জনগন নদী পাড় এবং ব্রীজটির পশ্চিমপাশে বসতবাড়ির উঠান হয়ে চলাচল করে থাকেন। এ পথে সহজে মালামাল নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। এ ব্রীজটি নির্মানের পর বিগত সময়ে স্থানীয় এলজিইডি থেকে নাগরৌহা উত্তরপাড়া হয়ে পাকা সড়ক নির্মানে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তার আর বাস্তবায়ন হয়নি।
নাগরৌহা উত্তরপাড়া ও অন্যান্য গ্রামের বেশ ক’জন জানান, এ সড়ক পথ পাকাকরণ না করায় সহজ ও সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। নাগরৌহা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, ব্রীজটির মুখ থেকে পূর্ব পাশে নদী পাড় হয়ে সড়ক নির্মান করা হলে পুরো সড়ক পথের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে। সেখানকার বসতি আমজাদ হোসেন সহ কয়েকজনের বসতবাড়ির উঠান দিয়ে সাধারণ জনগন চলাচল করে থাকে। তারা মানবিক কারণে এতে কোন বাধা দিতে পারেন না। একই গ্রামের উত্তরপাড়ার মোঃ বেলাল হোসেন জানান, ব্রীজটির মুখ থেকে পুকুরপাড় পাকা সড়ক পর্যন্ত পুরো সড়ক পথ পাকা করণ করা এলাকার সবশ্রেণির পেশার লোকজনের একান্ত চাওয়া।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, তার বিভাগ থেকে নির্মিত ব্রীজটির মুখ থেকে নদী পাড় হয়ে সড়ক নির্মানের বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেখানে ব্রীজটির মুখ থেকে পুকুরপাড় পর্যন্ত পুরো সড়ক নিয়ে তার বিভাগ থেকে একটি প্রকল্প তৈরি এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নে জোড়ালো উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর