ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
রাস্তার দু’ধারে লাগানো হয়েছে সারি সারি গাছের চারা। চারাগাছ গুলো গরু ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে বাঁশের তৈরি বেড়া। আর সে বেড়াতেই বেড়ে উঠেছে গুল্ম লতার গাছ,, লতাগাছ গুলো বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা হয়েছে বেড়ার ভিতরে লাগানো মূল গাছটি দেখাই যায় না। যে কেউ দেখলে হয়তো মনে করবে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এগুলো খুব যত্ন সহকারে লাগানো হয়েছে। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কানারামপুর হতে ত্রিশাল উপজেলা সদর পর্যন্ত ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য সমাপ্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তাটির কথা। ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের সাথে সরকারের করা চুক্তি অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণের পর দু’পাশে লাগানো হয়েছে ৯ হাজার ৭ শত ৪৯ টি বিভিন্ন জাতের কাঠ জাতীয় ও ফলজ গাছ। তিন বছর পর্যন্ত এই গাছ গুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের।
কিন্তু তাদের দায়িত্বহীনতার ফলেই ছয় মাস যেতে না যেতেই পরগাছার বাগানে রুপ নিয়েছে বেশির ভাগ চারাগাছ গুলো। এবিষয়ে জানতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বাবুল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান,, বিষয়টি ঠিকাদার কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার বলা হলেও কথার গুরুত্ব দেইনি। ঠিকাদার কর্তৃপক্ষের ম্যানেজারের দায়িত্ব থাকা শরিফ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান,, এই লতা জাতীয় গাছ গুলো খুব তিতা এগুলো গরু ছাগল খায় না,, এগুলো ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এজন্যই রেখে দেওয়া হয়েছে। যদি ক্ষতিকারক কিছু হয় তাহলে পরিষ্কার করা হবে।
CBALO/আপন ইসলাম