শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

কাঠের গুড়ি বেয়ে উঠতে হয় ব্রীজে ; ৫ হাজার মানুষের দূর্ভোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৩ অপরাহ্ণ

চৌহালী(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানুই গ্রামের বিনানুই নতুন বাজার-গয়হাটা মরিচপাড়া সড়কের বিনানুই খালের উপরে নির্মিত কংক্রিট ব্রীজের দু‘পাশে ১০ মাস ধরে সংযোগ সড়ক নেই। ফলে ওই এলাকার ৭ গ্রামের ৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত এ ব্রীজটি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ও সেতু/কালভাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৪ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দৈর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রস্থ এ কংক্রিট ব্রীজটি ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকেই ওই ব্রীজের দু‘পাশে সংযোগ সড়ক তৈরী না করায় ওই এলাকার ৭ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুকি নিয়ে কাঠের গুড়ি বেয়ে অতিকষ্টে ব্রীজটি পাড় হচ্ছে। গ্রামগুলি হল,বিনানুই,চর বিনানুই,চর সলিমাবাদ,চর নাকালিয়া,নয়াপাড়া,গয়হাটা মরিচপাড়া ও শান্তিনগর।

এ বিষয়ে বিনানুই গ্রামের আব্দুল মজিদ.মনু মিয়া,চর বিনানুই গ্রামের আব্দুল আউয়াল মোল্লা, চর সলিমাবাদ গ্রামের মুকুট মোল্লা,রফিক খাঁ,চর নাকালিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী,শান্তিনগর গ্রামের মনসুর আলী জানান,১০ মাস ধরে ব্রীজটি তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু দু‘পাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে আমরা যাতায়াতে চরম কষ্ট পোহাচ্ছি। তরুণ ও যুবকেরা লাফিয়ে কাঠের গুড়িতে উঠে তারপর হাতের উপর ভর দিয়ে পাড় হয়। কিন্তু বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুরা পাড় হতে পারে না। ফলে তাদের এ পথে যাতায়াত প্রায় বন্ধই হয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের পর দায়সারা ভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। বর্ষায় তা ভেঙ্গে যায়।

 

এরপর থেকেই আমাদের যাতায়াতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তারা বলেন, এ ব্রীজের দু‘পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় এ ব্রীজ দিয়ে কোন প্রকার যানবহণও চলাচল করে না। এলাকাবাসির ধান,চাল,নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারি বোঝও নিতে পারে না। তাই ব্রীজটি এলাকাবাসির কোন কাজেই আসছে না। ব্রীজটি এখন উল্টো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই অবিলম্বে ব্রীজটির দু‘পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ব্রীজটির সাব ঠিকাদার রমজান আলী বলেন,বীজিটি নির্মাণের পর মাটিভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই ওখানে মাটিভরাট করা হবে।

এ বিষয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী বলেন,বীজিটির দু‘পাশে মাটিভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। অচিরেই ওখানে মাটিভরাটের কাজ করা হবে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মজনু মিয়া বলেন, বীজিটি নির্মাণের পর মাটিভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ধসে গেছে। বিষয়টি আমার মাথায় আছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মাটিভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর