খেলা ডেস্ক:অনেকটা আচমকা গণমাধ্যমে এসেছে তার মৃত্যুর খবর। তিনি যখন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে গেলেন, স্বস্তি পেয়েছিলেন ভক্তরা। কিন্তু সেই স্বস্তি দিন কয়েক পরই উধাও। নিজ বাড়িতেই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের মৃত্যুর শোক কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন ভক্তরা।
এখনো নানা প্রশ্ন-সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছিলেন তো তিনি? চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি ছিল না তো? -এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার মাঠে নেমেছে আর্জেন্টিনার পুলিশ বাহিনী।
এইতো গত বুধবার বুয়েন্স আয়ার্সের নিজ বাড়িতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ম্যারাডোনা। যাকে বলা হয় সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের অন্যতম। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ীতার ছিল বড় ভূমিকা। একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে ট্রফি এনে দিয়ে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়।
সেই তার মৃত্যুতে অনেক অবহেলা দেখছেন তারই কিংবদন্তির আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা। তিনি দাবি করছেন- জরুরী সেবা চেয়ে ফোন করার আধঘণ্টা পর ম্যারাডোনার বাড়িতে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স। এ কারণেই চিকিৎসা ছাড়াই মৃত্যু হয় এই কিংবদন্তির।
চিকিৎসায় গাফিলতি ছিলো কিনা সেটা এখন খতিয়ে দেখছে বুয়েন্স আয়ার্সের একজন কৌসুলি। তার সঙ্গে কাজ করছেন তিনজন কৌসুলি। তারা ম্যারাডোনার প্রতিবেশির কাছ থেকে সিসি টিভির ফুটেজ নিয়েছেন।
ম্যারাডোনার এক আত্নীয় জানান এই মহাতারকার মৃত্যু নিয়ে একেকসময় একেক কথা বলছেন ম্যারাডোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা। কৌসুলির বিবৃতিতে বলা হয়- রাতের দায়িত্বে থাকা নার্স ভোর সাড়ে ছয়টায় ম্যারাডোনাকে শোয়া অবস্থায় দেখেছেন। তখন তার তিনি নাকি সুস্থ ছিলেন।
সকালের দায়িত্বে থাকা নার্স জানান সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ম্যারাডোনার হাঁটার শব্দ শুনেছেন তিনি। এই ব্যাপারগুলো রহস্য জমা করেছে।
এরপর দুপুরে জরুরী অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে ৯১১ নাম্বারে ফোন দেন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত সহকারী লিওপোল্ডো লুক। ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা জানান, অ্যাম্বুলেন্স এসেছে প্রায় আধঘণ্টা পর। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়- ১১ মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে আসে একটি অ্যাম্বুলেন্স।