শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় বাউৎ উৎসবে মেতেছে সৌখিন মাছ শিকারীরা

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ৫:৫০ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাউৎ উৎসবে মেতেছে বিল রুহুলে সৌখিন মাছ শিকারীরা।শনিবার ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর উপজেলা কিছু অংশ মিলে অবস্থিত বিল রুহুলে এই মাছ ধরার উৎসব পালন করেছে । ভোর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে নসিমন,করিমন, ভটভোটি, আটোরিক্সা,মোটর সাইকেল যোগে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে দল বোঁধে মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে তারা এসে হাজির হয়। এবিলে সৌখিন মাছ শিকারীরা প্রতিবছর এই উৎসব পালন করে থাকে। গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা এই উৎসবকে বাউৎ উৎসব বলে থাকে।

জানা গেছে, পাবনার চলনবিল বিধৌত এলাকা চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বেশকিছু বিল। তার মধ্যে বিল রুহুল অন্যতম। রুহুল বিলের পশ্চিমে চাটমোহর উপজেলার পাশ্বডাঙ্গা টেংগজানি, বোয়ালিয়া , উত্তরে পাটুলিপাড়া রঙ্গালিয়া দক্ষিণে লাউত কান্দি মধুরগাতি, আলম নগর,পূর্বে হাটগ্রাম, কালিকা দহ অবস্থিত। এরই মাঝখানে ঐতিহ্যবাহী রুহুল বিল অবস্থিত। বন্যার পানি নেমে গেলে বিল এলাকাতে গুলোতে প্রচুর পরিমানে দেশীয় প্রজাতির মাছ বোয়াল, সোল,রুই,কাতলা, গজার, নিচু জলাভুমিতে বিরাজ করে। আর বিলপাড়ের সৌখন মাছ শিকারীরা অবসরে বা কাজের ফাঁকে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে দল বোঁধে পলো, জালি (ছোট জাল), বাদাই জাল, ঠেলা জাল,ধর্মখরা ইত্যাদি নিয়ে মাছ ধরতে আসে। তারা আগে থেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একে অন্যোর সাথে যোগাযোগ করে এ বিলে মাছ শিকার করতে আসে।

সরেজমিন শনিবার সকালে উপজেলার বিল রুহুলে গিয়ে দেখা যায়, ভোর বেলা থেকে পাবনা, নাটোর , সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দল তীব্র শীত উপেক্ষা করে বেঁধে শত শত সৌখিন মাছ শিকারী এসে রুহুল বিলের পাড়ে এসে হাজির হয় । তারপর দলবোঁধে যার যার মতো প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে মাছধরার উপকরণ নিয়ে মাছ ধরতে পানিতে নেমে পড়ে। এভাবে বেলা বাড়ার পরপরই যার যার মতো মাছ ধরার পালা সাঙ্গ করে আবার নিজ নিজ গন্তব্য স্থানে ফিরে যায়। নাটোর জেলার গুরুদাস পুর থেকে মাছ ধরতে আসা পঞ্চাশোর্ধ সৌখিন মাছ শিকারী আলেপ সরকার বলেন, প্রতিবছর এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি।

পাবনা জেলার সদর উপজেলার মজিদপুর এলাকার রহন বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমরা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে মাছ শিকার করতে আসি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,দেশীয় প্রজাতির মাছকে রক্ষা করতে হলে মাছের অভাশ্রমকে আরও গুরুত্বের সাথে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই প্রতি বছর দেশীয় প্রজাতির মাছ উন্মুক্ত স্থানে আরও বৃদ্ধি পাবে।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর