দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
হিমালয় কন্যা বলে খ্যাত দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। বইতে শুরু করেছে শীতের হাওয়া। দিনের গরমের সাথে সাথে সন্ধ্যার পর রাতের গভীরতা বাড়ার সাথে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে যেন জবরদখল করে নিচ্ছে জেলার আশেপাশের প্রকৃতি। তাই তো শীতের এ প্রভাব থেকে রক্ষার্থে সাধারণ মানুষ ভীড় করছে লেপ – তোষকের দোকানে এখন এসব দোকানের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন । দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে উত্তরা লে শীতের প্রভাব সাধারণত একটু বেশি এবং তা অনেকটা ঘনস্থায়ী হয় । দেশে করােনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলছে । শীতে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে । সরকারিভাবে এমনই আগাম ঘোষণাও দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার রুহিয়া থানার রামনাথ বাজারের তাহের তুলা ঘর এর মালিক তাহেরুল ইসলাম জানান, এ ব্যবসার সাথে ১০ বছর জরিত। বছরের অন্যান্য সময় তাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ থাকে । সাধারণত কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে মাঘ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ ব্যবসা চলে। এ সময় তারা লেপ – তোষক তৈরির পাশাপাশি বিছানার চাদর, বালিশ ও বালিশের কভারসহ দরজা জানালার পর্দার কাপড় বিক্রি করে থাকে। শিমুল তুলা দিয়ে একটি লেপ তৈরী করতে প্রায় ১২ শ ‘ থেকে ১৩ শ ‘ টাকা খরচ হয়।
এরপরও শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে হাতেগোনা লেপ তোষকের যে কয়টি দোকান আছে সে দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে । লেপ তোষকের এই সব দোকানের করিগরদের ব্যস্ততায় মনে করে দিচ্ছে শীত আর বেশি দূরে নয় ।