হ্যালো,
রবিন ভাই কোথায় এখন আপনি।
আমি তোমার কলেজ গেটের পাশে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করছি।
ভাই আমার তো এখন কেমিস্ট্রি ক্লাস আরম্ভ হবে, আপনি একটু কষ্ট করে অপেক্ষা করেন প্লিজ প্লিজ, লক্ষী ভাই আমার। বলে ফোন রেখে দিল রুপা।
অপেক্ষার সময় অধিক দীর্ঘ হয়।
রবিন, বুকে ভালবাসার পরশা নিয়ে অপেক্ষা প্রহর গুনতে লাগলো।
রুপা তোমাকে অন্যমনস্ক লাগছে কেন?
আমার কথাগুলো কি তুমি বুঝতে পারছ না? শিক্ষক প্রশ্ন করে বসলেন।
না মানে,,,,,,,,,,,, স্যার এমনিতেই ।
কোনো কথাই আর অন্তরে স্থান পাচ্ছিল না, রবিনকে বসিয়ে রেখেছে বাহিরে। বারে বারে একই চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
অপেক্ষা করতে করতে স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে লাগলো রবিন । আমি যে রূপাকে ভালোবাসি এটা জানতে পারলেও কি ভাববে!
আমার মানসিকতা আমার ব্যক্তিত্ব ওকে আকৃষ্ট করে ঠিক, কিন্তু এর মানে তো এটা নয় ও আমাকে ভালোবাসে।
কিন্তু আমি তো তাকে ভুলতে পারিনা, তার সহজ-সরল মুখ খানা, তার সরলতা আমাকে প্রতিনিয়ত ও দুর্বল করে ফেলেছে। আজ তাকে আমার মনের সমস্ত কথাই বলে দিব। এইভাবে আর মনে চাপ নিতে পারছি না।
ক্লাস থেকে বের হয়ে কলেজ গেটের নিকট এসে এদিক ওদিক তাকিয়ে না পেয়ে ফোন দিলে রুপা।
রবিন ভাই আমি গেটে,
ও,,,
একটু দারাও রূপা,
রবিন কষে সিগারেটে দুইটি টান মেরে চলে আসল।
কেমন আছেন?
ভালো,
তুমি কেমন আছো !
এই তো দেখতেই পারছেন প্রতিদিন ক্লাস, পড়া, একটু চাপের মধ্যে আছি আরকি।
এই রিকশা দাড়াও!
ভাই আমি রিক্সায় যাব না।
কেন?
না মানে, শহরে তো আমার অনেক পরিচিত মানুষ আছে,আমার ভাইকে বলে দিবে।
ব্যতীথ কন্ঠে রবিন বলল ঠিক আছে!
রবিন মনে মনে ভাবতে লাগল রুপা কেন আমার সাথে রিক্সায় উঠবে!
ভাই এটা কি ওর অজুহাত!
হয়তোবা।
আমার সঙ্গে এক রিকশায় যেতে চাচ্ছেনা,তাই এমন কি করলো।
তাছাড়া অনেক জুটি তো রিক্সায় হুড তুলে চলতে দেখেছি,
না কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছিনা।
এদিকে রুপা মনে মনে ভাবছে,
যদি রবিনের সঙ্গে রিকশায় যাই তাহলে অতি তাড়াতাড়ি গন্তব্য পেয়ে যাব ।
এর চেয়ে ভালো দুজনে পাশাপাশি হেঁটে পথ চলা, তাতে অনেকটা সময় রবিনকে কাছে পাওয়া যাবে,
অনেক কথা বলা যাবে।
আচ্ছা ! রবিনকে আমি পছন্দ করি এইটা যদিও জানতে পারে তাহলে কি ভাববে।
সে যদি আমাকে ফালতু ভাবে,আর পারছিনা, কিছুতেই ভাবতে পারছিনা।
থাক এ সকল কথা মনের কথা মনেই চাপা পড়ে।
এভাবেই পথ চলতে থাকে সীমাহীন গন্তব্যে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।(ছোট গল্প)
CBALO/আপন ইসলাম