চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা না পেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। রবিবার ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু হাসানের মৃত্যু হয়। নিহত হাসান ভাঙ্গুড়া পৌরসভার পাথরঘাটা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা রুহল আমিনের ছেলে ।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় শিশু হাসানের প্রসাব বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি বিভাগে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্য না থাকায় প্যারামেডিক্যাল চিকিৎসক মাসুদ রানা শিশুটিকে বহির্বিভাগে পাঠিয়ে দেন। বহির্বিভাগে টিকিট কাটতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকলে শিশুটির অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় টিকিট কেটে শিশুটিকে বহির্বিভাগ থেকে আবার ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসে। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্যকে না পেয়ে প্যারামেডিকেল চিকিৎসক মাসুদ রানাকে বললে চিকিৎসা না দিয়ে শিশুটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি চেম্বারে পল্লীচিকিৎসক দিয়ে দেখানো হয়।
ওই চিকিৎসক সেখানে প্রথমিকি চিকিৎসা দিয়ে অক্সিজেন দিতে বলেন। কিন্তু তখনও মেডিক্যাল অফিসার সওগাত এহসান সাম্য না থাকায় শিশুটিকে ভর্তি না করা ও অক্সিজেন দিতে বিলম্ব করা হয়। এভাবে প্রায় ১ ঘন্টা হাসপাতালে ঘোরাঘুরির পরে শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন দেয়ার আগেই ১১ টার দিকে শিশুর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার মাসুদ রানা বলেন, শিশুটির অবস্থা এতটা খারাপ ছিল পরিবারের লোক আমাকে জানায় নি।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্য দাবি করেন, তিনি হাসপাতালের ওয়াডে পরিদর্শনে ছিলেন। তবে তার আসার আগেই শিশুটি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, শুনেছি শিশুটিকে বাইরের কোনো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। পরে ৯.৫৫ মিনিটে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে আসার পরপরই শিশুটি মারা যায়।
CBALO/আপন ইসলাম