অনলাইন ডেস্ক:ইসলামে এমন পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ, যা পরিধান করা সত্ত্বেও দেহের অঙ্গ দৃশ্যমান থাকে। এ ধরনের পোশাক পরিধানের কারণে মানুষকে বস্ত্রাবৃত হওয়া সত্ত্বেও বিবস্ত্র দেখায়। হাদিস শরিফে এ ধরনের পোশাক পরিধান করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। দাহয়া কালবি (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি কাপড়খণ্ড দিয়ে বলেছেন, এটাকে দুই টুকরা করবে। এক টুকরা দিয়ে একটি জামা সেলাই করবে। আর অন্য টুকরা তোমার স্ত্রীকে দিয়ে জামাটি দুই পার্ট করে সেলাই করে নিতে বলবে, যাতে কাপড়ের নিচে চুল দেখা না যায়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১১৬)
একবার বনি তামিম গোত্রের কিছু নারী আয়েশা (রা.)-এর কাছে আসেন। তাঁরা পাতলা কাপড় পরিহিতা ছিলেন। এটা দেখে আয়েশা (রা.) বলেন, যদি তোমরা মুমিনা হও, তাহলে এগুলো মুমিনাদের পোশাক নয়। আর যদি তোমরা মুমিনা না হও, তাহলে এসব কাপড় উপভোগ করো। (কুরতুবি : ১৪/২৪৪)
একবার হাফসা বিনতে আবদুর রহমান (রা.) পাতলা কাপড়ের ওড়না পরিধান করে আয়েশা (রা.)-এর কাছে আসেন। আয়েশা (রা.) সেই কাপড়টি ছিঁড়ে ফেলেন এবং তাঁকে একটি মোটা কাপড়ের ওড়না পরিয়ে দেন। (মোয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদিস : ১৯০৭)
বহু মানুষ পোশাক পরিধান করা সত্ত্বেও বিবস্ত্র থাকে। এটি হয়ে থাকে পাতলা কাপড় পরিধান করার কারণে। এ আলোচনা থেকে জানা যায়, ইসলামে কেবল সতর ঢেকে রাখাই ওয়াজিব নয়, বরং সতরের অঙ্গগুলো মানুষের দৃষ্টির আড়ালে করে রাখা অপরিহার্য।