আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুক্রবার স্বামী সুধীরকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান স্ত্রী।
চিকিৎসকদের তিনি জানান, তাঁর স্বামী বিছানা থেকে পড়ে অচেতন হয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে সুধীরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ডাক্তাররা সুধীরকে আরিভুলসেলভমের কথা বিশ্বাস করলেও একটা খটকা লাগে তাঁদের।
ডাক্তাররা দেখেন, নিহতের গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জেরার জন্য স্ত্রী আরুভিলসেলভমকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। সেখানে তিনি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশের দাবি, জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছেন, তিনি দুই আত্মীয়র সঙ্গে স্বামীকে মেরে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকে আরও বিস্ফোরক বয়ান দিয়েছেন ওই মহিলা।
তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ,স্বামী মদ্যপ ছিল। প্রতিনিয়ত বিকৃত যৌনতায় জোর করত। মহিলার দাবি, বিকৃত যৌনতায় রাজি না হলে সুদীপ তাঁকে মারধর করত। বৃহস্পতিবার সুদীপের দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয় আরুভিলসেলভম। এরপর দুই আত্মীয় বালামণি ও সুমাইয়ারকে ডেকে পাঠান তিনি। তিনজন সুধীরের মাথা প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে বেঁধে দেয়। ঘুমের মধ্যে শ্বাস আটকে মারা যান সুধীর।
শুধু তাই নয়, পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে যে, সুধীরের গোপনাঙ্গে ভয়ঙ্কর আঘাতও করা হয়।