শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

ই-পেপার

গলাচিপায় ১১৭ সাইক্লোন শেল্টারে হবে আশ্রিতদের ইফতার-সেহরি

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২০ মে, ২০২০, ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে গলাচিপা উপজেলায় ইতিমধ্যে মৃদু বাতাস ও থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে করোনা আবার এরই মধ্যে সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমফান। করোনার সামলাতে টালমাটাল অবস্থায়ই মঙ্গলবার বিকেলে থেকেই লড়তে হচ্ছে আমফানের সাথে। এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব মেনে দুর্গত এলাকার জন সাধারণকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ উপজেলায় দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য ১১৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ইউনিয়ন পরিদষ ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া এলাকার বহুতল ভবন গুলো যাতে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে সে ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য মোট ১৮টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রিতদের জন্য ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। যদিও আজ বেলা দিনটা পর্যন্ত গলাচিপার বিচ্ছিন্ন চরবাংলার বসবাসরত সহাস্রাধিক লোকের মধ্যে শতাধিক লোক ও গবাদি পশু সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে, গলাচিপা উপজেলার পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে সিপিপির ২ হাজার ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন ধরণের প্রচার ও সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রেখেছে।

এ ছাড়া প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রিতদের জন্য জরুরি শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলে ও মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে বলা হয়েছে। যদিও সকল জেলে এখন পর্যন্ত তীরে এসে পৌঁছায়নি। তকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা এসে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলেরা। এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবাংলা গ্রামের মো. সোহরাব আকন বলেন, কিছু মানুষ সাইক্লোন শেন্টারে গেছে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষই সন্ধ্যার পরে যাব না। যদি দেখি বেশি পানি ওডে (ওঠে) তাহলে যেতে পারি। এদিকে’ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রস্তুতি নিয়ে গলাচিপা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫টিসহ গলাচিপার ১৭ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ও ভ্রাম্যমাণ একটি মোট ১৮টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রেখেছি।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে গলাচিপা উপজেলার বেশি ঝূঁকিপূর্ণ চর বিশ্বাস ও চর কাজল ইউনিয়ন। এর মধ্যে চরবাংলা, ধলার চর ও চরকারফারমার মানুষ বেশি ঝূঁকিতে রয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রিতদের জন্য ইফতার ও সেহরির খাবার সবরাহ করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর