রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

দুর্নীতিতে নিমজ্জিত কাঠালিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৯ অপরাহ্ণ

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার মজিবুর রহমানের বিুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাহিদানুযায়ি তাকে টাকা না দিলে হাতে কলশ ওঠে না তার। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন অসাধু দলিল লেখকদের যোগসাজশে নামমাত্র কাগজপত্র দাখিল করে মোটা অঙ্কের ঘুষের মাধ্যমে চলছে দলিল রেজিষ্ট্রির কাজ।

জেলা সাব-রেজিস্ট্রার ও আইন মৃংখলা বাহিনীর নজরদারি না থাকায় দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা ও তার আশীর্বাদপুষ্ট দালালেলরা জিম্মি করে রেখেছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস। সাব-রেজিষ্ট্রার ও অসাধু দলিল লেখক চক্রের দুর্নীতির কাছে অসহায় হয়ে পরেছে সাধারণ জনগন। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন জেহাদ ঘোষণা করেছে তখন অফিসের প্রধান কর্মকর্তা বহল তবিয়তে থাকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তার খুঁটির জোর কোথায়?

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলিলের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক প্রতি লাখে ১১শ টাকা নির্ধারিত ঘুষ। এরপর প্রথম হাজার থেকে ২৪ হাজার পর্যন্ত ৫শ, ২৪ হতে ৩৫ হাজার পর্যন্ত ৬শ, ৩৫ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত ৮শ, ৫০ থেকে ৭৫ হাজার পর্যন্ত ৯শ, ৭৫ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত ১১শ টাকা এবং ১ হাজারের নিচে হলে ১শ টাকা। এভাবেই নির্ধারিত ঘুষ দিতে হয় অফিসারদের। অফিস শেষে কতটি দলিলে কত লাখ টাকা হয়েছে তা প্রত্যেক দলিল লেখকে হিসাব করে দিতে হয় ঘুষের নির্ধারিত ফি। এ নিয়ম শুধু সাফ কবলা দলিলের ক্ষেত্রে। এছাড়া হেবা, বিল এওয়াজ, দানপত্র, হেবার ঘোষণাপত্র, আমমোক্তারনামা, বায়না চুক্তিনামা, এফিডেবিড এ সমস্ত দলিলের ক্ষেত্রে আবার আলাদা ঘুষ ফি দিতে হয়। দলিল করতে যে সমস্ত কাগজপত্রাদি প্রয়োজন সেখানে যদি কোনো ত্রুটি থাকে তবে কর্মকর্তাদের চাহিদা মতো হাদিয়া না দেওয়া পর্যন্ত দলিল রেজিষ্ট্রি হয় না। কিছু দলিল হয় যা দলিল আইনে পড়ে না। দলিলগুলো অফিসের মধ্যে বিশ্রাম কক্ষে বসে রেজিষ্ট্রি করে দেন কর্মকর্তা। দলিল ভিজিট কমিশনের ক্ষেত্রে ফি ধার্য থাকলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দলিল দাতা / গ্রহীতার দুর্বলতার সুযোগ পেয়ে উভয় পক্ষ থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা। দলিল ডেলিভারি ক্ষেত্রে দলিল প্রতি মাসে ৫ টাকা ও ৩ বছরের ঊর্ধ্বে ১শ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও সেখানে নেয়া হয় বেহিসাবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গেলে তাকে কয়েকজন দলিল লেখকের সাথে বিশ্রামা কক্ষে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এ সময় অভিযোগের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তার পাশ থেকে দলিল লেখকরা তার পক্ষে উত্তর দেয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পরলে সাব-রেজিষ্ট্রার ও দলিল লেখকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সাংবাদিকদের উপর। এবং ক্ষুব্ধ হয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার মজিবুর রহমান বলেন, আমার এখানে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হয় না।

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর