মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় নারী নেত্রী শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ!

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান প্রদানের শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ থাকেন তিনি। জনতার মঞ্চে কথার ফুলঝুড়ি সাজিয়ে মঞ্চ বক্তব্যে আশ্বাস প্রদান করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের বেঞ্চ ও আলমারি বিতরণ, সিনিয়র জনপ্রতিনিধিদের কথাকে অগ্রাহ্য করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা ও ভাঙ্গুড়ার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গুলশাহানারা পারভীন লিপির বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর পার হলেও সেই প্রতিশ্রুতি আর রক্ষা করেন নি তিনি। প্রতিশ্রুতি প্রদানের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, জেলা পরিষদে সরকারি বরাদ্দ কম ও নগদ অর্থ চাওয়াতে তার প্রদানকৃত প্রতিশ্রুতি পুরুণ করতে পারেন নি।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ,রক্ষণাবেক্ষণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে সহায়ক কর্মসূচী সহ মোট ২৬ ধরণের নাগরিক সেবা প্রদান করে থাকেন জেলা পরিষদ। সেদিক থেকে চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর তিন উপজেলার পাবনা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা নির্বাচিত হয়েছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা শুলশাহানারা পারভীন লিপি। উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি যথা নিয়মে হাজির হন। অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সিনিয়র নেতাদের সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যথারীতি আর্থিক অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেও বছরের পর বছর চলে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি আর পুরণ করেন নি তিনি। তার এমন কর্মকান্ডের ব্যাপারে উপজেলার সরকার দলীয় সিনিয়ির নেতারা কিছুটা বিব্রতবোধ ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সুত্র জানান, গত ২০১৬ সালে কালবৈশাখী ঝড়ে ভাঙ্গুড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের একটি ঘর ভেঙ্গে যায়। পরে কলেজ চত্বরে জনসভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত জনতার সামনে জেলা পরিষদ সদস্য গুলশাহানারা লিপিকে কলেজটির ঘর মোরামতের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১টি অনুদান প্রদানের নির্দেশ দেন। এসময় গুলশাহানারা লিপি নিজেও কলেজটিতে অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি মঞ্চের মাইকে ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু গত সাড়ে ৩ বছর পর হলেও তা আর বাস্তায়ন করেনি তিনি। উপজেলার আরও অনেক এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু ‘বাস্তবায়ন করেননি।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য গুলশাহানারা পারভীন লিপি অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, জেলা পরিষদের সরকারি অনুদানের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার ভিত্তিকে বরাদ্ধ পাবে।কিছু প্রতিষ্ঠানকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা স্বীকার করে সরকারি বরাদ্দ কম ও নগদ অর্থ অনুদান চাওয়ায় তা আর দেওয়া সম্ভাব হয় নি। তবে প্রতিষ্ঠানের বেঞ্চ ও অন্যান্য উপকরণ হলে সেগুলো দেওয়া সহজ হবে।

 

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর