বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১১:১০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বাবুগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৪ অপরাহ্ণ

প্রিন্স তালুকদার, বরিশাল প্রতিনিধি:

কালের পরিক্রমা ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বরিশালের বাবুগঞ্জের মানচিত্র থেকে হারাতে বসেছে শরৎতের সাদা কাশফুল। প্রকৃতিতে শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুলের সাদা রং এর হাসি। শরৎ মানেই কাশফুল, এজন্যই শরৎকে বলা হয় ‘ঋতুর রানী’। ঋতু অনুযায়ী ভাদ্র-অশ্বিন মাস জুড়ে শরৎকাল। হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে দিন গোনা শুরু হলো এই শরৎতে, কৈলাশ ছেড়ে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা আসবেন তাদের গৃহে। নদীর পাড়ে কাঁশফুলের জেগে ওঠার আভাস দেখেই বাতাসে রটে গেছে শরৎ এসেছে, পূজা আসছে। শরৎকাল এলেই গ্রাম-বাংলার ঝোপ-ঝাড়, রাস্তা-ঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে দেখা মেলে কাশফুলের । বর্তমানে বরিশালের বাবুগঞ্জের নদ-নদীর ধার, ঝোপ ঝাড়, জঙ্গল, পুকুর, খাল-বিল, আবাদি জমির আইলে(সীমানা) শরৎকালের সেই চিরচেনা দৃশ্য আর দেখা যায় না।

 

কালের আবর্তে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন। এখন গ্রাম-বাংলায় বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে কয়টি কাশবন চোখে পড়ে সেগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বরিশালের বাবুগঞ্জের প্রকৃতিপ্রেমী সাংবাদিক ফয়ছাল আহম্মেদ বলেন, কাশবন চাষে তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। নিজে থেকে অথবা বীজ ছিটিয়ে দিলেই কাশবনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কাশবন গরু-মহিষের খাদ্য, গ্রামের ঝাঁটা, ও ঘরের ছাউনি হিসাবে ব্যবহ্রত হতো, কিন্তু বর্তমানে বাবুগঞ্জে কাশবন তেমন দেখা যায় যায় না। কয়েক জায়গায় থাকলেও তার রক্ষনাবেক্ষন তেমন করা হয় না।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর