সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

কাদের সাহেব আপনারা ক্ষমতায় আছেন অন্য দেশের দয়ায় : রিজভী

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৪৬ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কালকে একটা কথা বলেছেন মুজিববর্ষে মানুষকে আমি সুন্দর জীবন দিব। আল্লাহর দোহাই প্রধানমন্ত্রী আপনি আর জনগণকে সুন্দর জীবন দিয়েন না। আপনি মুজিববর্ষের শুরু থেকে এই ছয় মাসে যে সুন্দর জীবন দিয়েছেন, তাতেই ফেনী থেকে বেগমগঞ্জ, বেগমগঞ্জ থেকে সিলেট, সিলেট থেকে সিরাজগঞ্জ শুধু আর্তনাদ। এই আর্তনাদের জীবন আপনি দিয়েছেন। আপনি যদি আরো ছয় মাস সুন্দর জীবন দিতে যান, তাহলে এই জীবনে আরো কত আর্তনাদ-হাহাকার ও আহাজারি বাতাসে ধ্বনিত হবে তার কোনো ঠিকানা নাই।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার এই ছয় মাসের সুন্দর জীবন হবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের। তারা আনন্দে থাকবে আরও কত ক্যাসিনো গড়ে উঠবে। কত তরুণী লাঞ্ছিত হবে। আপনি আর সুন্দর জীবন দিয়েন না। এবার আপনি পদত্যাগ করুন। জনগণ একটু স্বস্তিতে থাকতে পারবে।

‘কারও দয়ায় ক্ষমতায় নেই আওয়ামী লীগ’ গতকাল দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণের দয়ায় আপনারা তো ক্ষমতায় নেই এটা তো সত্যি। সত্যি কথাই বলেছেন ওবায়দুল কাদের। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে তারা তো ক্ষমতায় নাই। তারা অন্য দেশের দয়ায় ক্ষমতায় আছেন। তবে দেশের জনগণের দয়ায় নয়।

রিজভী বলেন, সরকারের গত ১২ বছরের শাসনামলে শুধু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন হয়েছে। বাদ জায়নি ৫ বছরের শিশু থেকে ৭২ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্তও। এগুলোর চমৎকার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তিনি। এছাড়া এই আমলে মাদকের ছড়াছড়ি। মাদক ছাড়া কোনো কিছু কল্পনা করা যায় না। মাদকের সঙ্গে মাদক কারবারিরা যুক্ত থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু মন্ত্রীর কথা শুনে মনে হচ্ছে মাদকের বিস্তার মন্ত্রিসভা পর্যন্ত লাভ করেছে।

ঢাবির শিক্ষক মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মোরশেদ খান একজন তারুণ্যদীপ্ত শিক্ষক। তার স্ত্রী যখন ক্যান্সারে ভুগছেন, সেই সময় তিনি বার্তা পেলেন তার চাকরি নেই। শুধুমাত্র ভিন্নমতের কারণে। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিলাম, সিন্ডিকেট মেম্বার ছিলাম। ৭৩ এর অ্যাক্টে যে বিধান রয়েছে সেটা আমার মোটামুটি জানা আছে। ভিন্নমতের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি যেতে পারে না।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিক্ষক সমন্বয় কমিটির মহাসচিব বেলাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাদা দলের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান, অধ্যাপক সোহেল রানা, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সেক্রেটারি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ্জামান, এসএম জিলানী প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর