সুন্দর সবুজ শ্যামল ঘেরা এক অপুর্বময় স্বর্গীয় দেশ, আমার বাংলাদেশ । এ দেশে বহুকাল ধরে বিভিন্ন দেশ মহাদেশ হতে শত শত পর্যটক এদেশের শান্তির সুধা আহরনে আসেন। এখনকার মানুষের সহজ সরল সততার কারনে ইংরেজ, পতুর্গীজ, ওলন্দাজ ও কাবুলিওয়ালারা বানিজ্য করতে এসেছে । তারা বাঙ্গালীদের আথীয়তা পেয়ে ধন্য হয়েছে । সে জন্য তাহারা বিশ্ব দরবারে এ জাতির অনেক প্রশংসা করে গেছেন। আবার অনেক বেইমান জাতি বাঙ্গালীদের নীরিহ জীবন যাপন, সরলতার সুযোগে আবার অনেক মীর জাফরদের সহযোগীতায় এদেশে শোষনের রাজত্ব কায়েম করেছে। বাংলাদেশে ইংরেজরা প্রায় দুইশ বছর শোষন করে গেছে। ইংরেজ শাষন শেষ না হতেই ভারত বর্ষ দু রাষ্ট্রে বিভক্তির পর হতে আবার পাকিস্তানী হায়েনাদের কবলে এ বাঙ্গালী জাতি শোষিত হতে থাকে। অসহায় বাঙ্গালীর ভাষা ও স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এদেশের লাখো মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে রফিক জব্বার বরকতের তাজা রক্তের বিনিময়ে ভাষা অর্জিত হয় ।
বাঙ্গালীদেও পাকিস্তানের সৈরা শাসন থেকে মুক্ত করতে এদেশের মুক্তিযোদ্দারা জীবন বাজি রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন করেন। তাহারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাহাদেও এই এই মহান ত্যাগের কারনেই আজ আমরা স্বাধীন ভাবে চলা ফেরা করতে পারছি। দেশে স্বাধীন ভাবে চাকুরী ব্যবসা বানিজ্য করছি। রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদের সম্মান দেওয়া হয় । তেমনি সমাজের প্রত্যেক মানুষের ই উচিৎ তার বিবেক রাজ্যের নিকট হতে ও তেমনি সম্মান জানানো উচিৎ । সে রকম ঘটনা চিত্রায়িত করেছেন গত ০৩ অক্টোবর নাগরিক টিভিতে সোহাগ কাজী পরিচালিত নাটক স্বামী-স্ত্রীর গল্প তে। নাটকের নায়ক মীর সাব্বির মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ।
সে তার পিতাকে দেখে নি। শুনেছে তার পিতার দেশের জন্য জীবন দিয়েছে । তাই সে প্রতিজ্ঞা করেছে, তার ছোট্র চায়ের দোকানে কোন মুক্তিযোদ্ধা বা তার পরিবারের স্বজনরা আসলে, চার এর মুল্য নিবেন না। কত সুন্দর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানের প্রতি মমতাবোধ , সম্মান ও শ্রদ্ধা। এ নাটক হতে আমাদেও শিক্ষা নেয়া উচিত। আমরা ও এ বাঙ্গালীর শেষ্ট্র সন্তান দের কখনও ভুলব না। তাদের পাশে গিয়ে দাড়াবো ।
#CBALO/আপন ইসলাম