শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের আহবান,নইলে দুটি মামলার হুশিয়ারি-কালিগঞ্জে ৯নং সেক্টরের উপ-অধিনায়ক লামা-চকরিয়া সড়কে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় চালক নিহত আটোয়ারীর প্রতিবন্ধী আখতারুল হাসান মানবেতর জীবনযাপন করছে দ্রুত অবসরভাতা প্রদানের দাবিতে গোপালপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান আটোয়ারীতে ২৪-এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ঈশ্বরদীতে চাল মিলের বর্জ্য পানিতে ৪৫টি পরিবার অবরুদ্ধ  গোপালপুরে গণসংযোগে শাকিল উজ্জামান: “দুর্নীতিবাজদের বর্জন করুন, জনগণের ভরসা হতে চাই” সাতক্ষীরায় আব্দুল আলিমের মনোনয়নের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল

কঙ্গোয় বাংলাদেশের নারী পুলিশ ; শান্তি মিশনে আরেক অর্জন

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালিত ডিআর কঙ্গোর কিনসাসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সুরক্ষার দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা। বিদেশের মাটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরের সুরক্ষার দায়িত্ব পাওয়া দেশের জন্য অনেক বড় সম্মানের। শান্তিরক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের এটি আরেক নতুন অর্জন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে বিশ্বের নানাপ্রান্তে দায়িত্ব পালনকারীরা ‘ব্লু হেলমেটধারী’ হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রতীক ‘ব্লু হেলমেট’। কয়েক দশক ধরে শান্তি মিশনে গৌরবের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। কিছু দিন আগেই জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ফের শীর্ষে উঠে এসেছিল। শান্তিরক্ষী হিসেবে বিশ্বের নানাপ্রান্তে চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন ব্লু হেলমেটধারীরা। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিনসাসা বিমানবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

 

বাংলাদেশ থেকে আট হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় রয়েছেন ব্যানএফপিইউ-১, রোটেশন-১৪ এর শান্তিরক্ষীরা। এটির সুরক্ষা দিতে পেরে পুলিশের নারী শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত গর্বিত। রোটেশন-১৪ এর কমান্ডার মেরিনা আক্তার বলেন, ‘শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশ বিভুঁইয়ে জাতিসংঘের পতাকাতলে অত্যন্ত মর্যাদা ও গর্বের সঙ্গে আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কঙ্গোর এই বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবশ্যই বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা আশাবাদী, বরাবরের মতোই এবারও আমরা সফল হব। জাতিসংঘের ম্যান্ডেট মেনে আমরা নির্মোহভাবে কঙ্গোবাসীর জন্য শান্তির অভিপ্রায়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছি।’ পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নারী শান্তিরক্ষীদের এই অভিযাত্রা কঙ্গোবাসীর মনে নতুন আশা জাগিয়েছে। বর্তমানে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইথিওপিয়া। এই তালিকায় বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থান পঞ্চম। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ মিলে বর্তমানে ৬ হাজার ৭৩১ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত রয়েছেন।

 

১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা। ওই বছর ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক দলে ১৫ জন সামরিক পর্যবেক্ষক পাঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেই থেকে শুরু শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে লাল-সবুজের বাংলাদেশের যাত্রা। এরপর দিন দিনই আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় দেশের সাফল্যে নতুন নতুন পালক যুক্ত হয়েছে, যা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন এক মর্যাদায় নিয়ে গেছে। নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। আর পুলিশ নামিবিয়া মিশনের মধ্য দিয়ে ১৯৮৯ সালে শান্তিরক্ষী মিশনে যাত্রা শুরু করে। পুরুষের পাশাপাশি বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষীরাও নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর