রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

তাড়াশে মাদ্রাসার জায়গা বেদখলের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:৪৬ অপরাহ্ণ

লুৎফর রহমান:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তালম ইউনিয়নের জন্তিপুর গ্রামের জন্তিপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসা নামে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগ উঠেছে চার সহদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

দখলদার মোজাম হোসেন, তোজাম আলী, চাঁদ আলী ও রেজাউল করিম ঐ গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে।এদিকে মাদ্রাসাটির এমন পরিস্থিতি নিয়ে গ্রামবাসী ও দখলদারের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।সরেজমিনে (২৫ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সকালে দেখা যায়, মাদ্রাসাটির বারান্দায় বসে নূরানী কায়দা, নূরানী আমপাড়া ও কোরআন শরীফ পড়ছে বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী। আর শ্রেণি কক্ষের দখল নিয়ে লাঠি সোটা নিয়ে বসে আছেন সেই চার সহদর ভাই ও তাদের স্বজনরা। অপরদিকে বাহিরে দাঁড়িয়ে আছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও গ্রামের কয়েক শ’ সাধারণ লোকজন।

ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী মুফতী মাওলানা মোন্নাফ হোসেন, মাওলানা ইসরাফিল হোসেন, মাওলানা রজব আলী, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা মাসুদ রানা, মাওলানা সেলিম রেজা, হাফেজ মিলন হোসেন জানান, মাদ্রাসাটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল অবদি তারা জন্তিপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসাতেই পড়ালেখা করেছেন।

অত্র মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী আব্দুল বারি, আলিফ হোসেন, মিরাজুল ইসলাম, সোহানুর রহমান, তাহামিনা খাতুন, জেমি খাতুন, লাবনী পারভিন, সুরাইয়া পারভিনরা জানায়, তাদের মাদ্রাসার জায়গা দখল নিয়ে চেয়ার, টেবিল বাহিরে ফেলে দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে তারা বারান্দায় বসে কোরআন পড়ছে।

এ প্রসঙ্গে জন্তিপুর দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসা মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মতিন জানান, জন্তিপুর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। গ্রামটিতে প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। এই গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা লাভের কোন সুযোগ নেই। সারা বছর শ’ শ’ শিক্ষার্থী ঐ মাদ্রাসাতেই পড়ালেখা করে থাকে।

মাদ্রাসার জায়গা দখল বিষয়ে প্রভাবশালী মোজাম হোসেন, তোজাম আলী, চাঁদ আলী ও রেজাউল করিম জানান,এটা আমার বাবার পৈতিক সম্পত্তি, মাদ্রাসার জায়গা তাই দখল নেওয়ার চেষ্টা করছি।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির জানান, কওমি মাদ্রাসা সাধারণত স্বস্ব এলাকা বা গ্রামের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।
তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল করিম বলেন, উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে মাদ্রাসার সম্পত্তির কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর