মোঃ কামাল হোসেন,অভয়নগর যশোর থেকে:
নড়াইলের বাস টার্মিনাল রূপগঞ্জ ও নড়াইল বাজার ইজারায় দুর্নীতির মামলায় পৌরসভার তৎকালীন কাউন্সিলসহ ৮ জন আজ রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিপক্ষে হাইকোর্টে রিভিশন গৃহীত করে আসামিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেয়ার তারা আত্মসর্পণ করে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। যশোরের স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আসামিরা হলো নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন কাউন্সিলর খন্দকার আল মুনসুর বিল্লাহ, সরফুল আলম লিটু, সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, কাজল লতা, পৌরসভার সাবেক সহকারি প্রকৌশলি ওয়াজিহুর রহমান, মহিষখোল গ্রামের এইচএম সোহেল রানা পলাশ, রূপগঞ্জের রুবেল মিয়া, তৌফিকুর রহমান মামুন।
২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল একরায়ে বিচারক আসামিদের আদালত চলাকালিন সময় পর্যন্ত কারাদন্ড ও ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১শ’২০ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সোহবার হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র থাকাকালে নড়াইল বাজার, রুপগঞ্জ বাজার ও নড়াইল বাসস্ট্যান্ডের ইজারা দেন। এসময় ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার স্বার্থে পৌর কমিশনার ও কর্মকর্তাদের সহায়তায় কম মূল্যে হাট ইজারা দেন। যা বিগত বছরের তুলনায় ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১শ’২০ টাকা কম ছিল।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে সত্যতা পায় দুর্নীতি দমন কমিশন। ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী পৌর মেয়র সোহরাব হোসেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নয় আসমিকে আদালতে উপস্থিত সময়কে কারাদন্ড ও ৬ লাখ ৬৭ ১শ’২০টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ের বিপক্ষে হাইকোর্টে রিভিশন করেন। যার ক্রিমিনাল রিভিউশন নম্বর ৭৩০/২০।
চলতি বছরের ২ মার্চ এ আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিচারক রিভিশন গৃহীত করে পূর্বের রায় স্থগিত ও ৮ আসামিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসর্পণ করার আদেশ দেন। এ আদেশ পেয়ে আসামিরা আজ রোববার স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
#CBALO/আপন ইসলাম