স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় জসিম হাওলাদার নামের ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদন্ডের রায় ঘোষনা করা হয়।
মঙ্গলবার শেষ কার্যদিবসে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। তবে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরেকজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ। দন্ডপ্রাপ্ত জসিম হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠি গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।
মামলা দায়েরের ১১ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে পিপি অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ বলেন, রায় ঘোষণার সময় জসিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক রয়েছে। এ মামলায় খালাস পাওয়া একই এলাকার আলী হাওলাদারের ছেলে কুদ্দুস হাওলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত জসিম নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর (১৬) আত্মীয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, স্কুল ছাত্রীকে জসিম প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিলো। ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর স্কুল ছাত্রীর বাবা রিকশা চালাতে বের হলে তার মা প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। এ সুযোগে জসিম ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে গলা চেঁপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় দরজায় পাহাড়া দিচ্ছিলেন কুদ্দুস। এ ঘটনার পর ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর বন্দর থানায় দুইজনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর মা।
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন একমাত্র জসিমকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার ১০ জনের সাক্ষীগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।