চলনবিলের আলো অফিস:
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদের মধ্যে একটি চাটমোহর শাহী মসজিদ। ১৫৮১ খ্রিষ্টাব্দে মাসুম খাঁ কাবুলি নামে সম্রাট আকবরের একজন সেনাপতি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। চাটমোহর শাহী মসজিদ নামে সর্বাধিক পরিচিত এই মসজিদটি ইতিহাসের বইপত্রে মাসুম খাঁ কাবুলির মসজিদ নামেই উল্লেখিত আছে। মাসুম খাঁ কাবুলি মসজিদ চাটমোহর উপজেলা শহরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রতুতাত্তিক নিদর্শনসমূহের মধ্যে এই মসজিদটি অন্যতম।
চাটমোহর উপজেলা উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা যায়, চাটমোহর শাহী মসজিদটি কালের বিবর্তনে এক সময় ¶য়প্রাপ্ত হয়। ১৯৮০ এর দশকে বাংলাদেশ প্রতুতাত্তিক অধিদপ্তর মসজিদটির অবকাঠামো ঠিক রেখে নতুনভাবে নির্মাণ করে। মাসুম খাঁ কাবুলির মসজিদ একটি প্রতুতাত্তি¡ক স্থান। মসজিদটি সংস্কারের সময় এর অভ্যন্তরে একটি তুঘরা লিপিতে উৎকীর্ণ একটি ফারসি শিলালিপি পাওয়া যায়। শিলালিপিটি বর্তমানে রাজশাহী বরেন্দ্র জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। চাটমোহর এক সময় মোগল পাঠানদের অবাধ বিচরণভূমি এবং অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা ছিল।
মাসুম কাবুলি খাঁ এই এলাকা শাসনকালে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট প্রার্থনাকক্ষ নির্মাণে মুগল রীতি মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার একটি পরিপুর্ণ রূপ হিসেবেই বিবেচিত হয়। বাংলায় বিদ্যমান মুগল ইমারতের মধ্যে এই মসজিদটি সর্বপ্রাচীন নিদর্শন। যদিও ইমারত টি মুগল আমলে নির্মিত কিন্তু এটি বর্তমান রূপে এ অঞ্চলের সুলতানি স্থাপত্য রীতির সুস্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
মসজিদটির ভেতরের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট, প্রস্থ প্রায় ২৩ ফুট এবং উচ্চতা ৪৫ ফুট। ক্ষু দ্র পাতলা নকশা খচিত লাল জাফরি ইটে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির সামনে ইদারার গায়ে কালেমা তাইয়্যেবা লিখিত এক খন্ড কালো পাথর আজো শোভিত আছে। মসজিদ অভ্যন্তরে মেহরাবের চারদিকে ইটের কারুকাজ লক্ষণীয়। ফলকে খোদাইকৃত পার্সি অক্ষরে মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রতিদিন বহু পর্যটক মসজিদটি দেখতে সেখানে ভিড় করেন।
#CBALO/আপন ইসলাম