নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কভিডের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তিন অর্থবছরের মধ্যে কয়েকটি কিস্তিতে এই অর্থ ছাড় করা হবে। চলতি অর্থবছর থেকে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর মেয়াদে এ ঋণ দেওয়া হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার এডিবির ঢাকা অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এডিবি এই কান্ট্রি অপারেশন বিজনেস প্ল্যান (সিওবিপি) নিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট অর্থের মধ্যে ৫৯৪ কোটি ডলার ব্যয় হবে ইতোমধ্যে গৃহীত প্রাথমিক তালিকার প্রকল্পগুলোতে। ৫১৭ কোটি ডলার ব্যয় হবে অপেক্ষমাণ তালিকার প্রকল্প বাস্তবায়নে। বাকি তিন কোটি ৫৬ লাখ ডলার ব্যয় হবে কারিগরি সহায়তা বাবদ।
পাইপলাইনে থাকা প্রকল্প বাংলাদেশের প্রয়োজন এবং ব্যবহারের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে ঋণ ছাড় করা হবে। তবে সরকারের চাহিদার ভিত্তিতেই প্রাথমিক এবং অপেক্ষমাণ প্রকল্প বাছাই করা হবে। এ ছাড়া সংশ্নিষ্ট খাতের বাস্তবায়ন সক্ষমতা, প্রস্তুতি এবং অন্যান্য মানদণ্ডও বিবেচনায় নেওয়া হবে।এতে বলা হয়, সরকারের প্রক্রিয়াধীন অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে এডিবির এই সিওবিপি সংগতিপূর্ণ। এর মূল লক্ষ্য সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়া। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত এডিবি এই কৌশলেই কাজ করবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বেশ কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনে এই সিওবিপি বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করে এডিবি।করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। নতুন পরিকল্পনা উপলক্ষে গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন- স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গতি আনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশকে সহায়তার উদ্দেশ্যে এডিবির অগ্রাধিকার কর্মসূচি নতুন করে সমন্বয় করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃনিস্কাশনে আরও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জলবায়ুর প্রতিকূলতা রোধে সহন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের মতো প্রকল্প রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। মনমোহন প্রকাশ বলেন, এসব সহায়তার বিষয়ে সরকারকে তাদের সহায়তা চাইতে হয়নি। তারা নিজেরাই এসব খাতের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) পদ্ধতিতে নেওয়া প্রকল্প ও বন্ড মার্কেট উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে যাবে।