বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

ই-পেপার

হারবাংয়ে কোমরে রশি বেঁধে নির্যা‌তিত মা-মেয়ে সহ তিনজনের জা‌মিন,উক্ত ঘটনায় গ্রেফতার-৩

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০, ৭:৪০ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতি‌নি‌ধি,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ে বহুল আলোচিত মা ও মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে তাদের হারবাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন– উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার মাহবুবুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম (১৯), ইমরান হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০) ও জিয়াবুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮)। আর সামা‌জিক গন মাধ‌্যমে কোম‌রে র‌শি বে‌ঁধে নির্যাতন সে ভাইরাল হওয়া মা মে‌য়ে‌কে সোমবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্যাতিত মা ও মেয়েসহ তিনজনকে জামিন দিয়েছেন।

 

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন– চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট কুসুমপুরের মৃত আবুল কালামের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪০), আবুল কালামের দুই মেয়ে যথাক্রমে সেলিনা আক্তার সেলী (২৮) ও রোজিনা আক্তার (২৩)। তারা বর্তমানে কক্সবাজারে কারাগারে রয়েছেন।চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, গরু চুরির অভিযোগে মা ও মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।হারবাং ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার দিনগত রাত ৩টার দিকে গ্রেফতার করে।চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবী ইলিয়াস আরিফ জানিয়েছেন, তিনি চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিত মা ও মেয়েসহ কারান্তরীণ ৫ জনের জামিন আবেদন করেছিলেন।

 

তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব কারান্তরীণ পারভিন আক্তার, সেলিনা আক্তার শেলী ও রোজিনা আক্তারের জামিন মঞ্জুর করেন। অপর দুই পুরুষ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন।অন্যদিকে কোমরে রশি বেঁধে মা ও মেয়ে নির্যাতনের ঘটনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত দলের প্রধান কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবন্তী রায়ের হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তদন্তের কথা রয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ওই তদন্ত দলকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।উল্লেখ্য, মা ও মেয়েকে গত শুক্রবার বিকালে গরু চুরির অভিযোগ এনে হারবাংয়ে অতিউৎসাহী কিছু ব্যক্তি কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় মা-মেয়েসহ ৫ জনকে নির্যাতন শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছিল।

 

পরে তাদের গরুর মালিক দাবিদার উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার মাহবুবুল হকের করা মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছিল। চকরিয়া জুডিশিয়াল আদালত থেকে মা ও মেয়েসহ ৫ জনকে কক্সবাজার কারাগারে প্রেরণ করেছিল।এ ঘটনায় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি এ ঘটনার সময় চট্টগ্রামে ছিলেন। তবে তিনি মা ও মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা মোবাইল ফোনে জানতে পেরে গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে গরু চোর অভিযুক্তদের জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে পুলিশে দেয়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর