বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

দিনাজপুর চিরিরবন্দরে ৩০০’শ একর আমন ধানের চারা পানির নিচে” পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা চায় গ্রামবাসী

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০, ৮:২১ অপরাহ্ণ

সোহাগ গাজী – চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের ল²ীপুর ও বাসুদেবপুর গ্রামের প্রায় ৩০০’শ একর জমির আমন ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নেই কোন পরিকল্পিত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা। এ ঘটনায় ওই এলাকার স্থানীয় কৃষকরা পরিকল্পিত পানি নিস্কাশনের সু-ব্যবস্থার জন্য একটি লিখিত অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছে।

জানাগেছে আর্বজনায় ভরা একটি কালভার্ট থাকলেও কালভার্টের মুখের দুইদিকে অপরিকল্পিত ভাবে পাঁকা বাড়ি নির্মান করে ময়লার স্তুপ তৈরী করে রাখায় কালভর্টের ভিতর দিয়ে একমাত্র পানি যাওয়ার রাস্তটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ১ হাজার কৃষক বছরে এক বার শুধু বোরো ধান চাষ করে আসছে। ফলে জমি থাকা সত্বেও অনেকে আমন ধান আবাদ করতে না পেরে কষ্টে জীবনযাপন করছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর বাসুদেবপুর গ্রামের কালভার্টের মুখের দুইদিকে বাড়ির মালিক মোজাহেদ,আশরাফ আলী,মোজাম্মেল হক অপরিকল্পিত ভাবে কালভাটের্র সামনে ও পিছনে ময়লার স্তুপ করে রাখায় পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে থাকে।

এতে ওই এলাকার ল²ীপুর বাসুদেবপুর গ্রামের প্রায় তিন’শ একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ওই এলাকার ২০টিরও বেশী পুকুর প্লাবিত হয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী ও চাষিরা ¶তিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।

ওই গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমি গতবার আমন মৌসুমে ৪ একর জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। ধান পেয়েছি মাত্র ১৬ মন। অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমাট থাকার কারনে আমন ধান লাগালেও তা বেশিরভাগ সময় ডুবে থাকে। এতে শুধু একবার না অনেকবার আর্থিক ভাবে ¶তিগ্রস্থ হয়েছি।

ল²ীপুর গ্রামের কৃষক বাবলু হোসেন,সিদ্দীকুর রহমান,আবুল হোসেন সরকার,নজুর হোসেনসহ আরো অনেকে জানান, বাপ,দাদার আমল থেকে থেকে দেখে আসতেছি এই একটি মাত্র কালভার্ট দিয়ে এই এলাকার বর্ষা মৌসুমের সব পানি বের হয়ে যায়। কিন্তু বছর কয়েক আগে এখানে অপরিকল্পিত ভাবে নতুন পাঁকা বাড়ি নির্মান করে দুইদিকে মাটি দিয়ে ভরাট করায় কালভার্ট দিয়ে পানি যাওয়ার রাস্তা সংকোচিত হয়েছে। ফলে এই এলাকায় বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৩০০ একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকছে। এতে আর্থিক ভাবে সবাই ¶তির সমক্ষিণ হচ্ছি আমরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি, সেই জায়গায় একবার গিয়ে পরিদর্শন করে কালভার্টটি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলাম। তবে শ্রীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর