এম এস শবনম শাহীন:
‘জানেন, আমরা তিন টাকায় বিয়ে করেছি! কিউট না? আমাদের বিয়ের দেনমোহর তিন টাকা’—এভাবেই গত মার্চ মাসে হঠাৎ বিয়ের খবর জানিয়েছিলেন ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। নির্মাতা কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে বিয়ের পর পাঁচ মাস কেটে গেলেও পরীমনির স্বামী বা সংসারের কোনো খবর নেই। এমনকি নানা সময়ে ফেসবুকে নিজের অনেক ছবি পোস্ট করলেও স্বামীর সঙ্গে কোনো ছবি শেয়ার করেননি পরীমনি। শুধু তা–ই নয়, স্বামী ও সংসার নিয়ে কিছু জানতে চাইলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে কি তিন টাকা দেনমোহরের সেই বিয়ে ভেঙেই গেল? যোগাযোগ করা হলে স্ত্রী পরীমনি বা দাম্পত্য জীবন নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি কামরুজ্জামান রনি। বিয়ে ভেঙে গেছে কি না, জানতে চাইলেও তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। পরীমনির ঘনিষ্ঠ অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, পরীমনি আসলে হুজুগে বিয়েটা করেছেন।
বিয়ের পর কয়েক দিন তাঁকে স্বামীর সঙ্গে দেখা গেছে। তারপর আর কোনো খবর নেই। ঈদুল আজহায় সহকারী শিল্পীদের জন্য এফডিসিতে কোরবানি দিয়েছেন পরীমনি। নিজের হাতে সবার হাতে মাংস তুলে দিয়েছেন তিনি। গত কয়েক বছর কোরবানির মাংস বিতরণের সময় তাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর প্রেমিক। কিন্তু বিয়ের পর প্রথম কোরবানিতে এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে তাঁর বরকে দেখা যায়নি। এতে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে সবার মধ্যে। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া, তিন টাকার বিয়ে কি তবে তিন মাসও টিকল না! বরের কথা জানতে চাইলে এড়িয়ে যান পরীমনিও। তাঁর সাবেক বন্ধুদের অনেকেই মনে করেন, ইচ্ছা হয়েছিল, তাই বিয়ে করেছিলেন তিনি। বরের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ নেই। গণমাধ্যমে বরের প্রসঙ্গ এলে সাফ জানিয়ে দেন, স্বামীর বিষয় যেন না টানা হয়। বিয়ে নিয়ে তিনি কথা বলতে চান না। তবে পরীমনির বর কামরুজ্জামান রনি বলেন, ‘বিয়ের সময়ও আমি কোনো কথা বলিনি।
এখনো বলতে চাই না। আমি কাজে মনোযোগ দিয়েছি। কাজ নিয়েই থাকতে চাই।’ ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরীমনির প্রেমের খবর প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়। শোনা গিয়েছিল, পরের বছর ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করবেন তাঁরা। সে বছর জুনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। এর আগেও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পরীমনির। ভেঙেও যায়।