মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
মণিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নূরুজ্জামানের সহযোগীতায় আ’লীগ নেতা পরিচয়দানকারী হাদিউজ্জামান রানা নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে চাকরীর প্রমোশন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একজনকে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক, আরেক প্রভাষকের এমপিওভুক্ত করণ এবং কলেজের এক কর্মচারীকে বড় পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে মোট ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। একজন সচিব ও আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ প্রেসিডিয়াম সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে শর্ত অনুযায়ী কাজ করে দিতে না পারায় গত শনিবার প্রতারক রানাকে কলেজে অধ্যেক্ষর কক্ষে ৫ ঘন্টা আটক রেখে অজ্ঞাত কারণে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কলেজের অধ্যক্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় এমন প্রতারণার ঘটনা জানিজানি হওয়ার পর কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কলেজের ২ শিক্ষকসহ ৩ জনের নিকট থেকে প্রতারক রানা কর্তৃক অর্থ হাতানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারও করেন অধ্যক্ষ নূরুজ্জামান। জানা যায়, মণিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নূরুজ্জামানের সাথে প্রায় ৩ বছর ধরে তার কথিত পিএস হিসেবে কলেজে অবাধে আসা-যাওয়া ছিল হাদিউজ্জামান রানা নামের যুবকের।
এছাড়া অধ্যক্ষ নুরুজ্জামানকে সার্বক্ষনিক মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন স্থানে বহন করে আসছিল উপজেলার মধুপুর গ্রামের আ’লীগ নেতা পরিচয়দানকারী ওই রানা। অধ্যক্ষের সাথে চলাচলের সুবাদে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে নানা কারণে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রানার।