আশরাফুল ইসলাম রনি,তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভা সচিব আশরাফুল আলম ভুইয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম, দূর্নীতি, কর্মকর্তা- কর্মচারী থেকে শুরু করে পৌরসভায় সেবা প্রার্থী স্থানীয় জনসাধারনের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ রয়েছে নানা অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, তাড়াশ পৌরসভার সচিব গত ২০১৮ সালে দীর্ঘদিন পৌরসভায় যোগদান করেন। তারপর থেকে নানা অনিয়ম করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই সচিব। চাকুরির সুবাধে এ পৌরসভায় নিকট আত্মীয়দেরকেও কৌশলে চাকরির স্থান করে দিয়েছেন। এমনকি তার পছন্দেও লোকদের উপজেলার বাহিরে নিয়ে এসে পৌরসভার কাজে নিয়োগ দিয়েছেন।
এছাড়া তিনি পৌর এলাকার মধ্যে আলোকিত করতে ২৮০টির মতো ষ্ট্রিক লাইট লাগিয়েছেন। কিন্ত বেশির ভাগ লাইট অকেজ হয়ে পড়ে রয়েছে। এসব স্ট্রিক লাইট তিনি তার নিজের পছন্দের দোকান থেকে বাহিরে থেকে ক্রয় করেছেন। এর সঠিক মুল্য তা কেউ জানেনা।
স্থানীয় শরিফুল, ফারুক ও জাহিদসহ অনেকেই জানান, পৌরসভা হয়েছে নামেই,কাজে নয়। রাস্তাঘাটে ময়লার ভাগাড়। দুর্গন্ধে যাতায়াত করা মুসকিল। সচিব যেন অগোষিত স¤্রাট। অফিসে গেলে তিনি খুবই খারাপ আচরন করেন। এছাড়া তিনি পৌরসভার টাকায় নোহা মাইক্রোবাসে চড়ে ঘুরে বেড়ান। গাড়ী সামনে “তাড়াশ পৌরসভা” সম্বলিত ষ্টিকার লাগিয়ে ব্যাক্তিগত কাজে ছুটে যান বিভিন্ন স্থানে।
সরজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলা পরিষদের মধ্যে ময়লা-আর্বজনা ফেলেছে পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা। দুপাশে ময়লা ফেলে রাখার কারনে মানুষজন চলাচল করতে দুগর্ন্ধে নাক চেপে চলছে।
সুত্র আরো জানায়, ওই সচিব পৌরসভায় যোগদানের পর থেকে পৌরসভার হাট-বাজার, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, উন্নয়ন কাজের ট্রেন্ডার নিয়োগ গুলো যে সব পত্রিকা বাজারে আসেনা,পত্রিকা অফিস থেকে বিজ্ঞাপন দাতার অফিস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ কিছূ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, এ সচিব দীর্ঘদিন তাড়াশ পৌরসভায় দায়িত্ব থাকার কারণে কাউন্সিলর ও কর্মচারীদের সাথে কয়েক বার বাগবিতন্ডার ঘটনাও ঘটে। এ দূর্নীতিবাজ সচিব যতদিন থাকবে পৌরসভার লোকজন ক্ষোভ ও বিক্ষোভের দানা বাঁধছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ পৌরসভার সচিব আশরাফুল আলম ভুইয়া জানান, আমি শারিরিকভাবে অসুস্থ। অফিসে আসার সব কাজ ঠিক করে ফেলবো।