চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা, লাঠি খেলা। শরীর চর্চা, বিনোদনের পাশাপাশি এই খেলা ছিল ক্ষমতা ও শৌর্যের প্রতীক। নিয়মিত চর্চার পাশাপাশি এক সময় খেলাটি বর্ষবরন, পূজা-পার্বনসহ নানা উৎসবে বড় পরিসরে আয়োজন করা হতো। অথচ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই লাঠি খেলা। আবহমান বাংলার প্রাচীন এই খেলার নাম লাঠি খেলা। পরনে বাহারী পোশাক আর হাতে লাঠি। ঘুরছে শাঁই-শাঁই, পন-পন। ঢোলক, ঝুমঝুমি, কাড়া ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে নাচ। লাঠি দিয়ে হয় সড়কি, ফড়ে, ডাকাত ডাকাত, বানুটি, বাওই জাক, নড়ি-বাড়িসহ নানা খেলা। খেলোয়াররা তাদের নিজ নিজ লাঠি দিয়ে রণকৌশল প্রদর্শন ও আত্মরক্ষা করে। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই লাঠি খেলা। গ্রামীন সেই ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করে ঈদ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল সিদ্ধিনগরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা।
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বুধবার ( ২ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় সিদ্ধিনগর বটতলা সবুজ চত্বরে গ্রামের যুবসমাজের উদ্যোগে ও হান্ডিয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ ইসাহক আলীর সভাপতিত্বে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গ্রামের বর্ষিয়ান লাঠিয়ালগণ অংশগ্রহণ করে খেলাটি প্রাণবন্ত করে তোলেন। গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠিখেলা ছিলো জনসাধারণের ঈদের বিশেষ আকর্ষণ।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাবন-৩ সাবেক সংসদ সদস্য কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাটমোহর উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহিম, হান্ডিয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এফ এম ছহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা, হান্ডিয়াল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ সরোয়ার হোসেন, মুনিয়াদিঘী কারিগরি কৃষি কলেজের পরিচালক ও সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রনি, হান্ডিয়াল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা জয়।
এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।