মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় লীগপন্থী মুক্তিযোদ্ধার কটূক্তি: অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার স্বাধীনতা দিবসে তার বক্তব্যের সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলায় আওয়ামীলীগপন্থী কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা এর বিরোধিতাসহ কটুক্তি ও হট্টগোল করেন। এমনকি তাকে বক্তব্য প্রদানে বাধা প্রদান করেন। এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার ( ২৭ মার্চ) সন্ধায় ইফতার মাহফিল শেষে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই মিছিলে অংশ গ্রহন করে অষ্টমনিষা বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে সভাপতিত্ব করেন অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মোজাম্মেল হক মোজাম। অষ্টমনিষা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মো: শাহ-আলম সরকারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ওয়াজ উদ্দীন, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, কৃষক দলের আহবায়ক সেলিম রেজা ও অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো: সোহাগ গাজী।

 

বক্তারা বলেন, ২৬ মার্চ  পাবনা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার শহীদ জিয়াকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায়  ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামীপন্থী কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা। এরা শহীদ জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। তারা শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক মানেন না বলেও জানান। অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বজ্রকন্ঠে তাদের এহেন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং দৃঢ়তার সাথে বলেন জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি আরো বলেন, জিয়া ছাড়া কারো কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষনা কেউ শুনেছেন- এমন স্বাক্ষী বাংলাদেশে কখনো ছিলনা। বরং শেখ মুজিব হানাদার বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে পালিয়ে যান পাকিস্তানে। আজও কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রের রেকর্ড  করা জিয়ার সেই ভাষন রয়েছে,বাজিয়ে দেখতে পারেন।

 

বক্তারা আরো বলেন, এরা আসলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তালিকাভুক্ত হন এবং অবৈধভাবে সরকারি কোষাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা নেন। এদেরকে চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। তারা বলেন, সারা দেশের মতো ভাঙ্গুড়াতেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এরা সবাই পতিত সরকারের দোসর। শিগগিরই এদেরকে চিহিৃত করে বিচার করতে হবে।

 

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক কামরুজ্জামান চন্চল মাষ্টার, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আলেপ আলী, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজাহার আলী মেম্বার, বিএনপি নেতা আলতাব আলী মাস্টার, ফিরোজ আলী, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো: আব্দুল্লাহ আল-মামুন, যুগ্ন আহবায়ক মো: ফারুক আহম্মেদ, যুগ্ন আহবায়ক আনিছুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক ইজাজুল ফকির, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষক দলের সিনিয়র যুগ আহবায়ক মানিক হোসেন, যুগ আহবায়ক হুমায়ন কবির, যুগ আহবায়ক শরিফ ইসলাম, সদস্য সচিব আরিফ ইসলাম, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম আকরাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহম্মেদ, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হুদা, মেহেদী হাসান প্রমূখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর