সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার নগরঘাটায় আলোচিত কুখ্যাত সাংবাদিক নামধারী জাকির এর কু-কর্মের একের পর এক নথিপত্র বেরিয়ে আসছে। সম্প্রতি তার বিষয়ে একাধিক অনুসন্ধানে নামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মিরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা জায় সে এলাকায় টিভি রেডিও মিস্তির কাজ করত। সে সময় এলাকার কিছু মানুষের সাথে বিভিন্ন ভাবে টিভি রেডিও সারাই করা কালীন মালামাল পরিবর্তন করে একাধিক জরিমানা দেয়। এলাকার গুলিস্তান চা দোকানিকে গরম তাতাল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ায় সালিশ বিচারে জরিমানা ও গোনে সে।
আলাউদ্দিনের লোড দিতে দেওয়া মেমোরি পরিবর্তন করে বিক্রি করে ধরাও খায় সে। তার পরেও চালিয়ে জায় তার কু- কর্ম। জানা জায় সাতক্ষীরার এক ব্যাক্তির সাথে সস্পর্ক করে চলে আসে সাংবাদিকের ক্যামেরা চালানোর কাজে। সেখানে তার নিজ এলাকার কালীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে চাঁদাবাজি করায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় শিরোনামে আসে সে। পরে ঐ সাংবাদিক তাকে বহিষ্কার করে।
বহিষ্কার হওয়ার পরেও তার দৌরত্ব থামেনি চলে নিরব চাঁদাবাজি। জানা জায় তার সাথে কাজ করা সাতক্ষীরা সদরের এক সাংবাদিকদের জিম্মি করে নেয় মোটা অংকের চাঁদা। তাতেও ক্ষান্ত হয় নি পরে আরো টাকার দাবি করলে সেই সাংবাদিক আর টাকা দিতে অপরোগতা জানালে তাকে বিভিন্ন কৌসলে ফাসায়। সম্পতি নগর ঘাটা এলাকার ধর্ষনের অভিযোগে ভিকটিমের কাছ থেকে আদায় করে বিপুল অংকের চাঁদা তাতেও বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও অনলাইনে নিউজ পৌর্টালে হেড লাইনে আসে সরদার জাকির । সম্পতি এলাকার চাঁদাবাজ সাংবাদিক নামে পরিচিত সে। তার এলাকা নগরঘাটায় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্টানে চালায় নিরব চাঁদাবাজি। তার করা ভুয়া নিউজে বন্ধ হওয়ার উপক্রম ঘটেছে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে এলাকার উন্নয়ন। বিভিন্ন ঠিকাদার সাথে কথা বলে জানা জায় নগর ঘাটা এলাকার সরকারি বেসরকারি কাজ করতে গেলেই পড়তে হয় সাংবাদিক নামধারী জাকির এর রোষানলে, গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা।
এমন নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা রয়েছে অহরহ। এমন আরো হাজারো অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে যা তার এলাকার মানুষের মুখে মুখে সমালোচিত। এলাকার মানুষের মুখে একটাই প্রশ্ন এরা সাংবাদিক হলো কিভাবে। যারা সাংবাদিক নামের উপর কলঙ্ক লেপে দেয়। এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা হারাচ্ছে সস্মান। এসব ভুয়া সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তিকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত সাংবাদিকদের সম্মান ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি মাত্র।