জামালপুরের মেলান্দহে খানপাড়া পতাপঝগড়ী এলাকায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী ড্রেজিং প্রকল্পের উত্তোলিত বালু রাতে আঁধারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরা এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে স্থানীয় কেউ বালু খেকোদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসে নানা ধরনের হুমকি।সরেজমিনে গিয়ে রাতে দেখা যায়,খানপাড়া পতাপঝগড়ী এলাকায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী ড্রেজিং প্রকল্পের উত্তোলিত বালু রাতে আঁধারে শ্রমিক দিয়ে অবাধে ঐ এলাকায় প্রভাবশালীরা বিক্রি করছে। আর বালু বিক্রির জন্য তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেননি। বালু ব্যবসায়ীর এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত কখনো দিনে, কখনো রাতে সরকারি বালু বিক্রি করছে। এসব বালু বিক্রি করছে বিভিন্ন এলাকায়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন এলে দুয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় বালু চুরি ও বিক্রি।স্থানীয়রা বলছেন, এ ঘটনা চুরির নামান্তর। নিলামে বিক্রির জন্য রাখা বালুর বেহাত হওয়ায় সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু চুরি ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীসহ প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। মাঝেমধ্যে প্রশাসন দুই-একটা অভিযান চালালেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয় না। বালু পরিবহনে রাতে অবৈধ মাহিন্দ্রা গাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিকট শব্দ ও ধুলাবালুতে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।রাস্তায় চলাচলের অটোরিকশার যাত্রীরা বলেন, মাত্র গুটি কয়েক মানুষের জন্য আগে দিনের বেলায় চলাচলের কষ্ট হতো এখন রাত-দিন ২৪ ঘন্টা আমাদের এতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাগুলোর পাশের লোকজন জানান, দিনরাত ২৪ ঘন্টায় এখন মাহিন্দ্রা গাড়িগুলো বালু বহন করায় আমাদের যেমন বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে তেমন রাতের ঘুমও হারাম হয়েছে।নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, সারাদিন পরিশ্রম করে কাজ করি, রাতে একটু আরাম করে ঘুম পারবো তাও আবার মরার মাহিন্দ্রা গাড়ি যন্ত্রণা রাতে আমরা ঘুমাতে পারি না, শিশু বাচ্চারা মাহিন্দ্রা গাড়ির শব্দ কারণে রাতে ঘুমাতে পারেনা। আমরা এখন বিপদে আছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, কেউ যদি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বালু চুরি করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।