বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহন

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০, ৪:৩২ অপরাহ্ণ

মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
করোনা মহামারি ঠেকাতে সরকার সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করলেও ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া গিন্নি দেবী আগরওয়াল মহিলা কলেজে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা।কলেজ  কর্তৃপক্ষ মোবাইলে শিক্ষার্থীদের ডেকে পরীক্ষার আয়োজন করে।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে এইচএসসি’র বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হয়। ৭০ মার্কের পরীক্ষা শেষ হয় ১১টা ৪৫ মিনিটে।
উপবৃত্তি প্রদানে মেধা যাচাই করার জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলে দাবী করেন কলেজ অধ্যক্ষ বদরুল ইসলাম।
 তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নুর কুতুবুল আলম বলেন, করোনা কালীন সময়ে কোন ধরনের  কার্যক্রমের করার সুযোগ নেই।
গিন্নিদেবী আগরওয়াল মহিলা মহাবিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলেজে ২০২০ সালে অধ্যয়নরত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুত করার জন্য  মেধা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়।, তাই পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে, মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের নোটিশ করা হয়। সেই মোতাবেক মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা ১০ আগস্ট, ব্যবসা শাখা শিক্ষার্থীরা ১১ মার্চ ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা ১২ আগস্ট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন  করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য কলেজে ভীড় জমায়। কলেজের দক্ষিন দিকের টিনশেড ঘরের কক্ষে নেওয়া হয় তাদের পরীক্ষা। এছাড়াও কলেজের ক্যম্পাসে গণজমায়েত হয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ করছে শিক্ষার্থীরা।
কলেজে আসা শিক্ষার্থীরা জানায়, সারাদেশেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের জন্য বন্ধ সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কলেজে এসে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে না পারলে পরে ঝামেলা হতে পারে এই কারণে নির্ধারিত সময়েই সংগ্রহ করে পরীক্ষা দিয়েছি। পরিক্ষার ফি হিসেবে বিজ্ঞান শাখার জন্য ৭শ, মানবিক ও বানিজ্য শাখার জন্য ৫শ টাকা নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
 কলেজ অধ্যক্ষ বদরুল ইসলাম জানান, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘরে বসে তাদের মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা করেছে,।কিন্তু আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, যারা মেধাবী তারাই উপবৃত্তি পাবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কলেজ ক্যাম্পাসে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করেছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নুর কুতুবুল আলম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে এই ধরনের কার্যক্রম করার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেহেতু কোন কলেজ  শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে পরীক্ষা নিতে পারবে না, তবে অনলাইনে অথবা বাসায় পরিক্ষা নেয়ার সুযোগ আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর