যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে জেলা পরিষদের বহুতল মার্কেট নির্মাণের ওপর আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ২৮ ডিসেম্বর অভয়নগর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
স্থানীয় দোকানদার চাঁদ আলী আকনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৩৯ অর্ডার ১কল বলে এ আদেশ প্রদান করেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে জেলা পরিষদের পক্ষে অভয়নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, চাঁদ আলী আকন ১৯৯৭ সালে ৪৮ নম্বর দলিল মুলে ৫৫ নং গুয়াখোলা মৌজার ৬৮৩ খতিয়ানের এস এ দাগ ২০২-৭০২ আর এস খতিয়ান ১২৪ আর এস দাগ ১৭১-২২৫ এর মালিক হাসেম আলীর নিকট থেকে. ৫০ শতক জমি ক্রয় করে নিজ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন।
এবিষয়ে চাঁদ আলী আকন বলেন, পূর্বে কোন নোটিশ প্রদান না করিয়া গত কয়েক মাস আগে যশোর জেলা পরিষদের লোকজন তাদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে আসে। তিনি এসময় ব্যবসয়ীক কাজে নওয়াপাড়ার বাহিরে ছিলেন। মোবাইল ফোনে উচ্ছেদ অভিযানের নের্তৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন কথা শোনেনি। তাকে ওই দিন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে তার একতলা দোকান ঘর ছিলো। ঘরটি ভেঙ্গে দেওয়ায় তার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখানে আব্দুল আজিজ নামে একজন ভাড়াটে দোকানদার ছিলো। তিনি মোবাইল বিক্রয়ের দোকান পরিচালনা করতেন। দোকন ভেঙ্গে দেওয়ায় তার কয়েক লাখটাকার ক্ষতি হয়েছে ।
আকন আরো জানান তিনি জমি ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু কোন মহল তাকে সাহায্য করেনি।কোন উপায় না পেয়ে তিনি গত ২৭ নভেম্বর ২০২৪ সালে সিনিয়র সহকারী জজ অভয়নগর যশোর আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা করেন। যার নম্বর ১৬৯। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে চাঁদ আলী আকন এর পক্ষে কাজ রন্ধ রাখার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালত বিবাদী পক্ষকে ১৫দিনের মধ্যে তাদের সকল কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন।
বাদির অভিযোগ আদালতের আদেশ জারির পরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে পুলিশের সহযোগিতায় তা বন্ধ হয।
অভয়নগর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় আমাকে বিবাদি করা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
জেলা পরিষদের সহকারি প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, জাল জালিয়াতি করে জেলা পরিষদের জমি দলিল করা হয়েছে। সাধারন্ত সড়কের অপ্রয়োজনীয় জমি নয়নঝুঁলি নামে জেলা পরিষদের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়। জেলা পরিষদ ওই জমিতে মার্কেট নির্মাণ করছে। এখানে ব্যক্তি মালিকানা কোন জমি থারার প্রশ্নই আসে না। জেলা পরিষদ চ্যালেঞ্জ করে ওই মামলা খারিজ করবে।