পাবনা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে আখতারুজ্জামান আখতার (যুগান্তর) ও সম্পাদক পদে জহুরুল ইসলাম (কালবেলা) নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ থেকে ৬ টা পর্যন্ত প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ শেষে রাত তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে ৬২ জনের মধ্যে মোট ৫৭ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অ্যাডভোকেট মির্জা আজিজুর রহমান ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মো. রুহুল আমিন দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সভাপতি পদে আক্তারুজ্জামান আক্তার (যুগান্তর) মোট ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মীর্জা আজাদ (বার্তা সংস্থা পিপ) পেয়েছেন ২৩ ভোট। সম্পাদক পদে জহুরুল ইসলাম (কালবেলা) ভোট পেয়ে ২৯ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন কামাল আহমেদ সিদ্দিকী (ফোকাস বাংলা) ২৪ ভোট।
এছাড়া সহসভাপতি পদে এস এম আলাউদ্দিন (নয়া দিগন্ত) ৩১ ও সিফাত রহমান সনম (ইছামতী) ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বিপ্লব (ইছামতী) ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার উল্লাস (প্রথম আলো) পেয়েছেন ২১ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ (আর টিভি) ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী মোর্শেদ বাবলা (বিবৃতি) পেয়েছেন ২১ ভোট। কল্যাণ সম্পাদক পদে ৩২ ভোট পেয়ে কলিট তালুকদার (যমুনা টিভি) নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ আক্তারুজ্জামান রুমি (ঢাকা প্রতিদিন) পেয়েছেন ২৪ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৩৭ ভোট পেয়ে ইমরোজ খন্দকার বাপ্পী (গাজী টিভি) নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল (একাত্তর টিভি) পেয়েছেন (১৮)।
এর আগে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল (দৈনিক বিবৃতি) এবং দপ্তর সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান শিপন (ডেইলি মর্নিং টাচ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে শাহীন রহমান (চ্যানেল ২৪), মিজানুর রহমান (বৈশাখী), আবু হাসনা আইয়ুব (আজকের ইতিহাস), আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী (যায় যায় দিন), রফিকুল ইসলাম সুইট (বাসস), জি কে সাদী, সুশীল কুমার তরফদার নির্বাচিত হন।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর রাতে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন অ্যাডভোকেট মির্জা আজিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। মোট ১৯টি পদের বিপরীতে আগের কমিটির দুইজন যথাক্রমে সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ পদাধিকার বলে নির্বাহী সদস্য নিযুক্ত হওয়ায় ১৭টি পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন নির্বাচিত হওয়ায় ১৫টি পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মীর্জা আজাদ ও জহুরুল ইসলাম নামে একটি প্যানেল থাকলেও অন্যরা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।