পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে একদল দূর্বৃত্তরা দেশিও অস্ত্র সশস্ত্র সজ্জিত হয়ে আমজাদ হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে তার ১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের হারুনার রশিদের ছেলে আমজাদ হোসেন এর বাড়িতে গত ২৬ নভেম্বর রাত নয়টার দিকে অজ্ঞতনামা ৪০/৫০ জন দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।
অভিযোগকারি আমজাদ হোসেন জানান, ওই দিন রাত নয়টার দিকে আমি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন ভাংচুরেরর শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি সিংহরিয়া গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক, মোস্তফা, সাবেক মেম্বার আব্দুল রাজ্জাকের নেতৃত্বে
৪০/৫০ জন আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এলোপাথাড়ি ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে টিনের বেড়া, চাল, দোকানঘর, বসত ঘরের জানালা, বাড়ির প্রধান গেট ভাংচুর করে।
এসময় আমার স্ত্রী তাদেরকে বাঁধা নিষেধ করলে তাদের হাতে থাকা ইট ছুড়ে মেরে কপালের প্রচন্ড আঘাত করলে প্রচুর রক্ত বের হয়। পরে আমার স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীর মাথায় চারটি সেলাই দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
আমার ডেকোরেটরের বিভিন্ন জিনিস পত্র ব্যাপক ভাংচুর করে। আমার একলাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। পরে এলাকার লোকজনের মধ্যে বিষয়টি জানা জানি হলে তারা ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আহত মিলি খাতুন জানান, আমার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে আমার বসত ঘরের জানালা ভেঙে ফেলে। আমি তাদেরকে বাঁধা দিলে ইট দিয়ে ঢেল ছুড়ে আমার মাথায় আঘাত লেগে ফেঁটে যায়।
আমার চিৎকারে আশপাশের পরিবেশীরা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আটঘরিয়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।