পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আটঘরিয়া বাজার চাঁদভা সড়কের লতিফ হাজীর মোড় সংলগ্ন সড়কের পাশে সরকারি রাস্তার জায়গা মোন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জবর দখলের অভিযোগ করেছেন ব্র্যাকপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম প্রামানিকের ছেলে হাবিবুর রহমান। তিনি আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাবনা জেলা প্রশাসক ও পাবনা জেলা পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জাসা গেছে, আটঘরিয়া ব্যাকপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম প্রামানিকের ছেলে হাবিবুর রহমান পিতার নামীয় আর, এস রেকডীয় সম্পত্তি। হাবিবুর রহমানের পিতার আব্দুল করিম মৃত্যু বরণের পার তফসিল বর্ণিত সম্পতি গত ৪/৮/২০২২ ইং তারিখে রেজি”কৃত ৩১৮৭ নং বাটোয়ারা দলিল মুলে প্রাপ্ত হয়। কিন্তু ৮২১/২০২২-২৩ নং নামজারি কেসের মাধ্যমে প্লট আকারে ২১২৩ নং হোল্ডিং খুলিয়া খাজনা খারিজ প্রদান করিয়া তফশিল সম্পত্তির মধ্যে কিছু অংশ প্লট আকারে নিজাম উদ্দিন মাস্টারের নিকট বিক্রয় করেন। এই সম্পত্তির কিছু অংশ ফাকা জায়গা দিয়ে এলাকার লোকজন চলাফেরা করেন।
গত ৮/১১/২০২৪ ইং তারিখে আটঘরিয়া ব্র্যাকপাড়া গ্রামের মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে মোন্তাজ আলী গং রাতের আধারে নিজাম উদ্দিনের সরকারি রাস্তার ফাকা জায়গা জোরপূর্বক দখল করে প্রাচীর দ্বারা ঘিরিয়া টিনের একচালা ঘর নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে।
জমি বিক্রংদাতা জানান, আমার বাপ-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি। আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় নিজাম মাস্টারের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছি। আমার বাড়ীর সাথে প্রতিবেশি মোন্তাজ আলী তার কোনো জায়গা না থাকায় জোরপূর্বক জবরদখল করে প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করে দখল করে রেখে টিন শেটের ঘর নিমান করে রখেছে। তার এই জবর দখল করে প্রাচীর দেয়ার কারনে এলাকার লোকজনের চলাচলের চরম অসৃবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। আমি এই অবৈধ দখলদার মোন্তাজের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানানচ্ছি।
ক্রয়কৃত জমির মালিক নিজাম উদ্দিন মাস্টার জানান, আমি জমির মালিক হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসবাস করছি। আমার বাড়ীর সামনে সরকারি রাস্তার জায়গা দিয়ে এলাকার অনেকে লোকজন চলাফেরা করে। আমার প্রতিবেশি মোন্তাজ আলী জোর পূর্বক সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও কওে ঘর তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, মোন্তাজের শালিকাকে এই জায়গার উপর টিন সেটের ঘর তৈরি করে বসবাস করার ব্যবস্থা কওে দিয়েছে। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু-হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত মোন্তাজ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি উক্ত সম্পত্তি আমার স্ত্রী মোছাঃ আরজিনা খাতুনের নামে পাবনা জেলা পরিষদের নিকট থেকে লিজ নিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহারুল ইসলাম বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।