বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
রুহিয়ায় প্রাইম ব্যাংকের এজেন্ট শাখার শুভ উদ্বোধন জেল থেকে বেরিয়ে ভোমরা সীমান্তে আবারও বেপরোয়া শামীম, বিজিবি সদস্যকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ‎৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  অভয়নগরে কাঠ-পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লীর কারণে ভয়ংকর হুমকির মুখে পরিবেশ, প্রশ্নবৃদ্ধ প্রশাসন বীরগঞ্জে ভর্তি কাজে রোভার স্কাউটদের সেবামূলক কার্যক্রম ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি নেতা মোতালেব হোসেনের সংবাদ সম্মেলন জনগণের পরিবর্তন চাই, আপনাদের জন্য কাজ করে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করতে চাই- কেএম আনোয়ারুল ইসলাম

যশোর সদরে চলছে কবিরাজির নামে ভন্ডামি

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

মোঃ কামাল হোসেন:

যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাঁধাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে চায়ের দোকানের পিছনে শহিদ নামে এক ভন্ড ফকির চিকিৎসার নামে অপকর্ম করে বেরাচ্ছেন। চিকিৎসার নামে নারীদের শ্লীলতাহানী ঘটাচ্ছেন তিনি।  স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে কালো রংয়ের একটি পাঞ্জাবি পরে শহিদ চায়ের দোকানের নাম করে দোকানের পিছনে একটি খাটের উপর মেয়েলি রোগের চিকিৎসার নামে তেল পড়া ও তেল মালিশ করছে। শুধুমাত্র যুবতী ও গৃহবধূদের তিনি এ চিকিৎসা দিচ্ছেন। ভন্ড শহিদ মেয়ের পেটে, পীটে, বুকে তেল মালিশ করার নামে স্পর্শ স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটাচ্ছে। নারীরা লোক লজ্জার ভয়ে মুখ খুলছে না।এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শহিদ জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত আমির আলী ফকিরের ছেলে। গ্রামের এক কলেজ ছাত্রী জানান, শহিদ চিকিৎসার নামে মেয়েদের ও গৃহবধূদের শ্লীলতাহানী ঘটাচ্ছে। চিকিৎসার প্রয়োজন এবং লোক লজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। একবার কোন যুবতী বা গৃহবধূ তার কাছে গেলে দ্বিতীয়বার আর কেউ যাচ্ছে না। দিন দিন তার মাত্রা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি বন্ধা এক নারী তার চিকিৎসা করাতে যান।

 

তখন শহিদ তার স্পর্শ স্থানে হাত দিলে তিনি চিৎকার করে ওঠেন। বিষয়টি চায়ের দোকানে উপস্থিত অনেকে টের পান।চাকরীজীবি এক পুরুষ জানান, তার স্ত্রী গাইনি সমস্যা নিয়ে শহিদের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যা করেছেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিৎ। কিন্তু মান সম্মানের ভয়ে মামলা করা হয়নি। এ গ্রামের অনেকেই শহিদের ভন্ডামি জানেন কিন্তু লজ্জায় কেউ এগিয়ে আসেন না। তবে, জঙ্গলবাঁধাল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ আব্দুস সাত্তার নারীদের চিকিৎসা করেন কি না তা জানেন না বলে উল্লেখ করে বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে শহিদ শিশুদের বিভিন্ন তেল পড়া, পানি পড়া দিয়ে থাকেন। শিশুদের গলা ফলা, মাছের কাটা বাধলে, পায়ে মোচড় লাগলে তিনি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তার পানি পড়া, তেল পড়ায় শিশুদের উপকার হয় বলে তিনি দাবি করেন। এব্যাপারে শহিদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর