সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

ই-পেপার

প্রধান শিক্ষকের অপবাদ ঢাকতে সহ: শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:২৯ অপরাহ্ণ

সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্থকৃত প্রধান শিক্ষকের অপবাদ,দুর্নীতি ঢাকতে সহ: শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাজানো, হয়রানী মুলক অর্থ আত্মসাৎ মামলা করায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী ও স্থানীয়দের মাঝে তীব্র প্রতিবাদ চলছে।অনাকাঙ্খিত মামলাটি করেছেন, বিদ্যালয়ের সহ:শিক্ষিকা রহিমার সাথে নারী কেলেঙ্কারী,দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ কর্মচারী,শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে গত ২৫ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে অদক্ষতা,কর্তব্যে অবহেলা,অনিয়ম-দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাৎ ও নৈতিকতা স্খলনের প্রমান পায় তদন্তকারী কর্মকর্তা।গত ৫ সেপ্টেম্বর বিদায়ী রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান ২০২৪ এর ৫৩(১) প্রবিধান মোতাবেক প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্থ করেন।প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগকারীর ১ নং এ ছিলেন, সহ: শিক্ষক মাও: আব্দুস সবুর। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারীদের সমন্বয়ে মাসিক গচ্ছিত টাকার ভিত্তিতে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে একটি সমিতি গঠন করেন।উক্ত সমিতি হতে তাদের পারিবারিক সমস্যা/প্রয়োজনে নিজেদের বেতনের চেক/স্ট্যাম্প প্রধান শিক্ষকের কাছে জমাদান পুর্বক লোন নিতেন।উক্ত সমিতির সভাপতি ছিলেন,প্রধান শিক্ষক শহিদুল।নৈতিকতা স্খলন ও দুর্নীতির অপরাধে বরখাস্থ হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক তার কৃতকর্ম মুছতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে শুরু করেন মিথ্যা মামলা।তার কাছে জমাকৃত বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাও: আব্দুস সবুরের অলিখিত স্ট্যাম্পে ১৩,৭০,৫৪০ টাকা উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষকের রড-সিমেন্টের দোকানে বাকী দাবী করে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা আমলী আদালতে আব্দুস সবুরকে আসামী করে সাজানো ও হয়রানী মুলক ৪০৬/৪২০ ধারায় অর্থ আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং সিআর-২৯৭/২৪।তারিখ-১৭/৯/২৪।মামলায় উল্লেখ করেন,২০২১ সালের জানুয়ারীতে তার দোকান হতে রড,সিমেন্ট বাকী করে (বিবাদী) শিক্ষক আ: সবুর বাসা করেছেন। প্রকৃত পক্ষে তিনি বহু আগেই নিজ গ্রামে বাসাবাড়ি করেছেন।কথিত মামলার এজাহারে অন্য কোন স্বাক্ষী না পেলেও স্বাক্ষী করেছেন অন্য এলাকার লোকদের।সাজানো মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক শহিদুল তার পরকীয়া প্রেমিকা স্কুল শিক্ষিকা রহিমার স্বামী মুকুল ও তার দোকানের কর্মচারীকে মানীত স্বাক্ষী করায় মামলাটির সত্যতা নিয়ে সচেতন মহলে নানা গুঞ্জণ চলছে।এদিকে,বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক গৌতম মদক,চন্দন কুমার,আল মামুনসহ অনেক শিক্ষক/কর্মচারী জানান,ধর্মীয় শিক্ষক মাও: আব্দুস সবুরের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়রানী মুলক ও সাজানো।প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি,অপবাদ ঢাকতে মামলাটি করেছেন।তাই কথিত মামলাটি প্রত্যাহার করে প্রাচীনতম এ বিদ্যাপিঠে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর