পাবনার ঈশ্বরদীতে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে তানজিদ আহমেদ রাতুল (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আলিফ (১৮) নামের আরেক যুবক আহত হন। নিহত রাতুল রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার বনকিশোর গ্রামের মোঃ জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। আহত আলিফ ঈশ্বরদী উপজেলার বড়ইচরা গ্রামের মোঃ মাহাবুব রহমানের ছেলে। তারা দুজন ঈশ্বরদী ইপিজেডে তিয়ানি কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার পাকশী রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঔ এলাকার স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক ১০টার সময় দুজন যুবক রূপপুর টানেলের পাশ দিয়ে রেললাইনের ওপর উঠে পাকশী রেল স্টেশনের দিকে যেতে থাকেন। এ সময় একজনের কানে হেডফোন ছিল। কিছুক্ষণ পরই চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় রাতুল নামে এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আলিফ জানান, রাতে ডিউটি শেষে দুই বন্ধু হাঁটাহাঁটি করতে রূপপুর টানেল থেকে রেললাইন দিয়ে হেঁটে পাকশী রেলস্টেশনে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পাই ট্রেন আসছে। কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি কোন লাইন দিয়ে ট্রেনটি আসছে। হঠাৎ ট্রেনের ধাক্কায় আমি ছিটকে পড়ি। ট্রেন চলে গেলে দেখতে পাই রাতুল ট্রেনে কাটা পড়ে কয়েক টুকরা হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। আমাকে ঔ এলাকার স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল রহমান বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে তানজিদ আহমেদ রাতুল নামে যুবকের মৃত্যুর পর তার মরদেহ রেলওয়ে থানায় আনা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।