অন্তর্বতী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করনের অভিপ্রায়ের প্রতিবাদে আটঘরিয়ায় মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে দশটার সময় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশন আটঘরিয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো : রতন মোল্লা।
এসময় বক্তব্য রাখেন লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার, চাঁদভা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, মাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মানিক হোসেন।
আরও বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন, ফরহাদ হোসেন, ইসহাক আলী, লুৎফর রহমান, আঙ্গুরী খাতুন, আব্দুল আউয়াল, হেলাল উদ্দিন, রেবেকা খাতুন, রবিউল ইসলাম সাচ্চু, আমির হামজা, অহেদ আলী, মানিক হোসেন, ছানোয়ায় হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, জনপ্রতিনিধি গন জনগনের প্রত্যেক ভোটে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন। ফ্যাসিবাদিদের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় সোচ্চার ছিল।ফ্যাসিবাদকে প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে জনগন আমাদেরকে বিপুল ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
তারা আরও বলেন, জুলাই-আগষ্ট ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মাঠে ছিলেন। যারফলে অভ্যুন্খানের মধ্যদিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।
আমরা জনগনের পাশে থেকে অন্তবর্তী কালীন সরকারের সমস্ত নির্দেশনা পালন করে যাচ্ছি। সকল সরকারি সেবা আমরা তৃনমুল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর।
বিভিন্ন সুত্রমতে তারা আরও বলেন, সরকার ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। এতে ভেঙে পড়তে পারে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ও সরকারের জনকল্যাণ মুলক উদ্যোগ। এতে তৃণমুলের নাগরিক সেবা ব্যাহত হবে।
তাই যাচাই বাচাই করে জনবান্ধন জন- প্রতিনিধিদের বহাল রেখে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হোক। এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দেয়া হলে জাতীয়তা সনদ,জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ সহ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কার্ড পেতে ভোগান্তি বাড়তে পারে।
উক্ত মানববন্ধনে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।