ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলার আরও ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের কর্মী মোঃ আরিফুল ইসলাম আলিম, ঈশ্বরদী উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং আওয়ামী লীগের কর্মী সুজন হোসেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে যুবলীগের কর্মী মোঃ আরিফুল ইসলাম আলিম ওরফে হাসুয়া আলিম ও শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুস সালামকে নিজ বাড়ি থেকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ এবং আওয়ামীলীগের কর্মী মোঃ সুজন হোসেনকে নিজ বাড়ি থেকে র্যাব-১২, পাবনার সদস্যরা আটক করে। আটককৃত মোঃ আরিফুল ইসলাম আলিম মুলাডুলি ইউনিয়নের বহরপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুস সালাম পাকশীর বাঘইলের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে এবং আওয়ামী লীগের কর্মী সুজন হোসেন দাশুড়িয়া নওদাপাড়া গ্রামের ওসমান প্রামাণিকের ছেলে। তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সুত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট ঈশ্বরদী রেলগেট এলাকায় ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট আহত নজরুল ইসলাম নামে যুবদলের কর্মী সাবেক এমপি গালিবুর রহমান শরীফকে প্রধান আসামি করে ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১০। এছাড়া একই দিন উপজেলার দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৯ আগষ্ট আবু উসামা নামে এক শিক্ষার্থী ৭৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১০০-১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১২। এই দুই মামলার তাদের ৩ জনকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, ঈশ্বরদী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসুফ প্রধান, যুবলীগ কর্মী সজিব শেখ, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ফারুক ইব্রাহিম তারেক, দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেজাউল করিম ভোলা, উপজেলা যুবলীগ কর্মী আরিফুল ইসলাম আলিম, শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুস সালাম ও আওয়ামী লীগ কর্মী সুজন হোসেন। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হামলার দায়ে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলোয় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।