এক প্রদীপের নিচের অন্ধকার দেখেই হতবাক সবাই। অনেকেই বলছেন, এরকম অনেক প্রদীপ জ্বলছে দেশের বিভিন্ন থানায়। তাদের খুঁজে বের করে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে থানার ওসিদের ওপর পুলিশ সদর দপ্তরের তদারকি এবং পুলিশিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
চার মাস আগের ঘটনা। বরগুনার আমতলী থানার ওসির রুম থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় শানু হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির। নিহত পরিবারের দাবি, তিন লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় হত্যা করা হয় তাকে। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী।
এক মাস আগে গাজীপুরে পুলিশ হেফাজতে মারা যান এক নারী। পরিবারের দাবি, স্বামীকে না পেয়ে ইয়াসমিনকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পুলিশ।
এছাড়া ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ২৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ফেনীর নুসরাতের জবানবন্দি ভিডিও করে ওসি মোয়াজ্জেমের ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা বেশ আলোচিত। এছাড়া ধর্ষণের বিচার চাইতে এসে পুনরায় ওসির দ্বারা ধর্ষনের শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে।
গণমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, দেশের ৬৬০টি থানার মধ্যে শতাধিক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগের ক্ষেত্রেই প্রত্যাহার আর বদলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে শাস্তির সীমা। আর এ কারণেই প্রশ্ন উঠেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতারা কেনো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন?
পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে যদি পুলিশের দূরত্ব কমানো না যায় তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার অন্ত থাকবে না।’
প্রদীপের মতো আরো যে কর্মকর্তা বিভিন্ন থানায় রয়েছেন অবিলম্বে তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘থানার ওসিদের উপরে মহলের প্রভাবশালীদের যোগাযোগ থাকে। সেগুলো খুঁজতে হবে।’
পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘অপরাধে জড়িত পুলিশদের বের করে দেয়া গেলে সমস্যার সমাধান হবে।’