পাবনার ঈশ্বরদীতে শ্বশুরের ২২ কেজি গাঁজা ও ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং জামাতাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় পালিয়ে যায় শ্বশুর আজিম উদ্দিন (৫৫)। আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের বহরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. সুমন উদ্দিন (২৮) ও পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার শ্রীরামগাড়ি এলাকার আমিরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. সাথী বেগম (৩৩)। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রফিকুল ইসলাম। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে শহরের এমএস কলোনির নুর মহল্লা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে আসামি সুমনকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার শ্রীরামগাড়ি এলাকায় সাথী বেগমের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে সাথী বেগমকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উপজেলার মোকাররমপুর এলাকার মৃত হোসেন শেখের ছেলে গাঁজা কারবারি আজিমুদ্দিন পালিয়ে যায়। থানা সূত্র মতে, পাবনা পুলিশ সুপার মো. আ. আহাদের নির্দেশনায় ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামীর নেতৃত্বে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসান বাসির, এসআই আব্দুল হালিম ও এএসআই সবুজ আলীসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আটক সুমনের শ্বশুর আজিম উদ্দিনকে পলাতক দেখিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা মাদক কারবারি। চলতি মাসে শুরুর দিকে ১০ কেজি গাঁজাসহ আজিমুদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী পুলিশের হাতে আটক হয়েছে, গত এক মাসে তাদের কাছ থেকে ৩২ কেজি গাজা উদ্ধার করা হলো।